1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হংকং: আইনসভা থেকে পদত্যাগ ১৫ জন সদস্যের

১২ নভেম্বর ২০২০

অগণতান্ত্রিক ভাবে চারজন সদস্যকে বহিষ্কার করা হয়েছে, এই অভিযোগে হংকংয়ে ১৫ জন গণতন্ত্রপন্থী সদস্য আইনসভা থেকে পদত্যাগ করলেন।

https://p.dw.com/p/3lAjv
ছবি: Vincent Yu/AP Photo/picture alliance

হংকংয়ের আইনসভা থেকে পদত্যাগ করলেন সমস্ত গণতন্ত্রপন্থী সদস্যরা। অভিযোগ, বিনা নোটিসে, আদালতে বিচার ছাড়াই হংকংয়ের সিটি কাউন্সিল চারজন গণতন্ত্রপন্থী সদস্যকে বহিষ্কার করেছিল। তারই প্রতিবাদে বাকি ১৫ জন গণতন্ত্রপন্থী সদস্যও পদত্যাগ করেছেন। এর ফলে হংকংয়ের আইনসভায় আর কোনো বিরোধীপক্ষ থাকল না। পদত্যাগকারীদের বক্তব্য, এর পর আন্দোলন আরো শক্তিশালী হবে।

সম্প্রতি বেজিং হংকংয়ের জন্য একটি নতুন আইন প্রণয়ন করেছে। যে আইনের বলে হংকংয়ের সিটি কাউন্সিল কোনোরকম বিচার ছাড়াই আইনসভার সদস্যদের বহিষ্কার করতে পারে। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে ওই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে বলে চীনের দাবি। বুধবার সেই আইনের বলেই চারজন গণতন্ত্রপন্থী সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। তাঁদের আদালতে যাওয়ারও সুযোগ দেওয়া হয়নি। এরই প্রতিবাদে গণতন্ত্রপন্থী আরো ১৫ জন আইনসভার সদস্য দ্রুত পদত্যাগ করেন। তাঁদেরই একজন হু চি ওয়াই। গণতন্ত্রপন্থী সদস্যদের কনভেনার তিনি। সংবাদমাধ্যমকে হু চি ওয়াই জানিয়েছেন, ''বৃহস্পতিবার প্রশাসনের হাতে পদত্যাগপত্র ধরিয়ে দেওয়া হবে। এর পর আন্দোলন আরো জোরদার হবে।''

বিশেষ নিরাপত্তা আইন জারি হওয়ার পর থেকেই হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের একের পর এক গ্রেফতার করছে পুলিশ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ আন্দোলনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্র নিয়ে মুখ খুললেই পুলিশ তুলে নিয়ে যাচ্ছে। যে চারজন সদস্যকে বুধবার বরখাস্ত করা হয়, তাঁদের বিরুদ্ধেও জাতীয় নিরাপত্তার মামলা হয়েছে। গণতন্ত্রপন্থীদের বক্তব্য, একই দেশে দুই আইন চালানোর চেষ্টা করছে বেজিং। হংকংয়ের মানুষদের উপর অত্যাচার চালানোর জন্য একের পর এক অগণতান্ত্রিক আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে।

আইনসভা বিরোধীশূন্য হলে মানুষের উপর নির্যাতন আরো বাড়বে না? পদত্যাগকারী সদস্যদের এমনই প্রশ্ন করেছিল সংবাদমাধ্যম। উত্তরে তাঁরা জানিয়েছেন, আইনসভায় গণতন্ত্রপন্থীদের কণ্ঠরোধ করে রাখা হয়েছিল। সে কারণেই তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। আইনসভার বাইরে থেকেই এ বার আরো কঠিন এবং দৃঢ় আন্দোলন করা হবে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)