স্লিম হতে চান, ফল আর সবজি মিশ্রিত ‘স্মুদি’ খান
আজকাল অনেকের, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মুখে শোনা যায় ‘স্মুদি’, অর্থাৎ ফল আর সবজি মিশ্রিত এক ‘পুষ্টি বোমা’-র কথা৷ কী সেই জিনিস? চলুন, ছবিঘর থেকে জানা নেওয়া যাক বিস্তারিত৷
‘স্মুদি’ বা ট্রেন্ড পানীয়
স্লিম, সুস্থ এবং সুন্দর থাকতে হলে চাই শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ আরো অনেক কিছু৷ আর সেজন্য ফল আর সবজি মিশ্রিত পুষ্টি পানীয় ‘স্মুদি’-র তুলনা নেই৷ সবই রয়েছে এতে৷ ফলে সকালে স্মুদি দিয়ে দিনের শুরু হলে সারাদিন সুস্থ থাকা যায়৷ তার সঙ্গে এতে খিদে কম তো পায়ই, ওজনও কমানো যায় সহজে৷
কী দিয়ে তৈরি হয় এই ম্যাজিক পানীয়?
যে ফল, সবজি অথবা সালাদের পাতা দিয়েই ‘স্মুদি’ তৈরি করা হোক না কেন, তা হতে হবে একদম তাজা আর এটাই ‘স্মুদি’-র প্রথম শর্ত৷ সম্ভব হলে অরগ্যানিক উপায়ে উৎপাদিত সবজি এবং ফল হলেই সবচেয়ে ভালো, কারণ এতে পুরো ভিটামিন বজায় থাকে৷ এছাড়া প্রয়োজন দুধ বা সাদা দই৷ তবে চাইলে আদা, কাঁচা মরিচ, ধনে পাতা, মধু বা পছন্দের কোনো মশলাও মেশানো যেতে পারে৷
কী উপকার হয়?
‘স্মুদি’-তে বিভিন্ন ধরণের শাক এবং সালাদের পাতা থাকায় এতে শরীরের কেটে যাওয়া ক্ষত সহজে সেরে উঠে৷ এছাড়া এ পানীয় পেট পরিষ্কার রাখে এবং শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনে৷ স্মুদি খেলে অল্পতেই পেট ভরে এবং অনেকক্ষণ পর্যন্ত কিছু না খেয়ে থাকা যায়৷ সোজা কথায়, অল্প পরিমাণে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে সহজেই ওজন কমানো যায়৷
তরুণ প্রজন্মের জার্মানদের ‘স্মুদি’ প্রেম
যাদের সময় থাকে তারা ঘরেই তৈরি করে নেয় ‘স্মুদি’৷ আর সময়ের তাড়া রয়েছে যাদের, তারা দোকান থেকেই কিনে নেয় বিভিন্ন স্বাদ আর গন্ধের স্মুদি৷ এই স্বাস্থ্যকর পানীয় সহজেই যে কোনো জায়গায় খেয়ে ফেলা যায়, সহজে হজম হয়৷ তাই ‘স্মুদি’ তরণদের দারুণ প্রিয়৷
সবুজ স্মুদি
সবুজ ফল, সবুজ শাক-সবজি দিয়ে তৈরি এই ‘স্মুদি’ খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি উপকারী৷ আসলে ‘সবুজ’-এর ভেতরে কেমন তাজাভাব লুকিয়ে থাকে, যা খাওয়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়৷ এতে ৫০ ভাগ সবুজ ফল আর ৫০ ভাগ সবুজ শাক-সবজি আর সালাদপাতার মিশ্রণই সবুজ রং দেয়৷ এছাড়া এতে দিতে হবে সামান্য মিনারেল ওয়াটার৷ ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল অসামান্য একটা ‘পাওয়ার ড্রিংক’৷ স্বাস্থ্যসম্পত এই ‘স্মুদি’ সবাইকে ডাক্তারের কাছে যাওয়া থেকে দূরে রাখবে৷
মুহূর্তেই তরতাজা!
‘স্মুদি’-র জন্য প্রয়োজন একটি মানসম্পন্ন ‘ব্লেন্ডার’, এতে পছন্দের যা ইচ্ছে তাই ঢেলে দিন৷ প্রথমে সর্বনিম্ন স্তরে কয়েক সেকেন্ড, এরপরে সবচেয়ে বেশি ‘পাওয়ার’-এ ৩০ সেকেন্ড ‘ব্লেন্ড’ করুন৷ এর বেশি নয় অর্থাৎ ‘স্মুদি’ যেন গরম না হয়ে যায়৷ মাত্র এক গ্লাস ‘স্মুদি’ মুহূর্তেই আপনাকে করবে তরতাজা! ব্লেন্ড করা ‘স্মুদি’-র পুরোটা শেষ না হলে ঝটপট সঠিক পাত্রে ভরে ফ্রিজে রেখে দিলে দু’দিনেও এর গুণাগুণ নষ্ট হবে না৷