স্মার্টফোনে আসক্তি? বিরতি নিন!
সপ্তাহে প্রায় দেড় হাজার বার নাকি আমরা স্মার্টফোনে ঢুকি৷গবেষকদের মতে এই হিসেব বের করা বেশ কঠিন ছিলো৷ তাঁরা মাল্টিটাস্কিং থেকে বিরতি নেয়া প্রয়োজন বলে জানান, সেইসাথে তার কারণগুলোও৷
মাল্টিটাস্কিং
যে প্রতিদিন অসংখ্যবার মাল্টিটাস্কিং করে সে যে মাল্টিটাস্কিং-এ ভালো হয় তা নয়, বরং এর মধ্য দিয়ে তার মনোযোগে দীর্ঘমেয়াদী বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়৷ এই তথ্য নিউরো বিজ্ঞানী মানফ্রেড স্পিত্সারের৷ প্রকাশ হয়েছে সাইবারক্রাঙ্ক (সাইবার সিক)–এ৷
গুণগতমান ভালো হওয়া সম্ভব নয়
একসাথে অসংখ্য মেসেজ পাঠানো, ইন্টারনেট সার্চ, ছবি তোলা , পোষ্ট, আবহাওয়ার খবর জানা-এত কাজ বা মাল্টিটাস্কিং কেউ করতে পারলেও কাজের গুণগত মান তেমন ভালো হতে পারেনা বা সম্ভব নয়-জানান বিজ্ঞানীরা৷
বই পড়া
আমরা যখন একটা বই পড়ি তখন কেউ কোনো প্রশ্ন করলে, মুখ তুলে হয় প্রশ্নের উত্তর দেই, না হয় বইয়ে মনোযোগ থাকে৷ একসাথে দুটো কাজ হয়না৷ ব্রিটিশ গবেষকরা জানিয়েছেন মাল্টিটাস্কিং আমাদের জন্য নয়৷ মনোবিজ্ঞানী এবং নিউরো-গবেষকদের মতে, অমনোযোগের কারণে অনেকসময় কম শোনা বা বধিরতা প্রকাশ পায়৷
কম মাল্টিটাস্কিংর ফলাফল ভালো
মাল্টিটাস্কিং বিষয়ে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, হেভি মাল্টিটাস্কারদের চেয়ে কম মাল্টিটাস্কারদের ফলাফল ভালো ছিলো৷
ডিজিটাল বার্নআউট
বন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার মার্কোভেটস ডিজিটাল বার্নআউটকে ভয়ঙ্কর বলে বর্ণনা করেন৷
স্মার্টফোনের সাথে লাভ/ হেইট সম্পর্ক
স্ট্যাটিস্টা-এর করা এক জরিপে দেখা যায়, ঘুমানোর আগে হাতে স্মার্টফোন আবার জেগেই স্মার্টফোনে চোখ রাখা অভ্যাসে দাড়িয়েছে অনেকের৷ মানুষের সমস্ত মনোযোগ কেড়ে নিয়েছে সেল ফোন৷ কিন্তু প্রশ্ন , এই বিরক্তিকর অভ্যাসগুলি নিয়ন্ত্রণ করা কেন এত কঠিন?
উত্তর খুব সহজ
খুব সহজ উত্তর, কারণ ডিজিটাল বিশ্ব আমাদের মুগ্ধ করে কাছে টানে৷
জার্মানদের স্মার্টফোন প্রেম
জার্মানিতে ১৪ থেকে ২৯ বছর বয়সিদের প্রতি দুইজনের একজন এবছর প্রায়ই অফলাইনে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এক সমীক্ষায়৷
শুধু তরুণদের বিষয় নয়
তবে স্মার্টফোন, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব, স্ন্যাপচ্যাট, হোয়াটসঅ্যাপ এসব আজকাল আর শুধু তরুণদের বিষয় নয়৷
স্যোশাল মিডিয়ায় প্রবীণেরা
জার্মানিতে অসংখ্য ৮০ বছর বয়সিরাও নিয়মিত স্যোশাল মিডিয়ায় দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা ব্যয় করে থাকেন৷ তবে বেশিরভাগই স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানতেই ইন্টারনেটে ঢোকেন৷ তাছাড়া তাদের নাতি নাতনির সাথে নাকি কেবল স্মার্টফোনেই আজকাল যোগাযোগ সম্ভব৷
শতকরা ৯০ ভাগ
২০১৮ সালে শতকরা ৯০ ভাগেরও বেশি জার্মান ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন৷ গড়ে দিনে ১৯৬ মিনিট বা তিন ঘণ্টা ১৬ মিনিট ৷ তা ২০১৭ সালের চেয়ে ৪৭ মিনিট বেশি৷ তবে ৩০ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে এই হিসেব ছিলো দিনে ছয় ঘণ্টা৷ এই সমীক্ষাটি করে জার্মান টিভি চ্যানেল এআরডি এবং জেডডিএফ৷
আশার কথা
আশার কথা ১৪ থেকে ২৯ বছর বয়সিদের প্রতি দুইজনের একজন ২০১৯ সালে ইন্টারনেটে তুলনামূলকভাবে কম ঢুকবেন অর্থাৎ ২০১৭ সালের চেয়ে শতকরা মাত্র ১০ভাগ বেশি৷ শতকরা ১৪ ভাগ ৬০ + মানুষ স্মার্টফোন, ইন্টারনেট কম ব্যবহার করার কথা জানায় ফোরসা প্রতিষ্ঠানের করা এক সমীক্ষা৷