স্মার্টফোন দিয়ে করোনা মোকাবিলার উদ্যোগ
২৪ মার্চ ২০২০ইউরোপের বেশিরভাগ দেশে তথ্য সংরক্ষণের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর৷ আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির এই যুগে ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় মানুষ সম্পর্কে অসংখ্য তথ্য সংগ্রহ করা হলেও সরকার বা প্রশাসন যাতে নির্বিচারে তার নাগাল পেতে না পারে এবং সেই সংগৃহিত তথ্যের অপব্যবহার করতে না পারে, সেই লক্ষ্যে মজবুত রক্ষাকবচ গড়ে তোলা হয়েছে৷ সংশ্লিষ্ট ইইউ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এ বিষয়ে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে৷
করোনা ভাইরাসের থাবা অন্য অনেক প্রচলিত বিষয়ের মতো তথ্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত মানদণ্ডের ভিত নাড়িয়ে দিচ্ছে৷ সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে ব্যক্তিগত তথ্য কাজে লাগানোর সম্ভাবনা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হচ্ছে৷ কিছুদিন আগে পর্যন্ত এমন উদ্যোগের কথা ভাবা যেত না৷ অনেক মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকার ও প্রশাসনের কড়া নির্দেশ না মানায় স্মার্টফোনের লোকেশন বা অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য কাজে লাগিয়ে মানুষের সমাবেশের খবর পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হতে পারে৷ এই তথ্যের ভিত্তিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের গতিপ্রকৃতিরও পূর্বাভাষ পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ জার্মানির প্রধান টেলিযোগাযোগ কোম্পানি টেলিকম এরই মধ্যে রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের কাছে এমন তথ্য সরবরাহ করেছে৷
উদ্দেশ্য সৎ হলেও একবার এমন প্রথা চালু হলে ভবিষ্যতে সরকার ও প্রশাসন এর অপব্যহহার করতে পারে বলে অনেক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা করছেন৷ বিশেষ করে গোটা প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখতে কোনো নিরপেক্ষ কমিটি বা কর্তৃপক্ষ না থাকায় তথ্যের লাগামহীন প্রয়োগ করা যেতে পারে৷ কমপক্ষে তথ্যের মালিকের পরিচয় গোপন রাখা উচিত বলে অনেকে মনে করছেন৷
চীন, তাইওয়ান, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো এশিয়ার অনেক দেশের সরকার এমন তথ্য ব্যবহার করে করোনা মহামারির প্রসার রুখতে যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে বলে লোকেশন ডেটা ব্যবহারের প্রবক্তারা সওয়াল করছেন৷ তবে এমন তথ্যের অপব্যবহার নিয়ে এশিয়া মহাদেশেও বিতর্ক রয়েছে৷ মার্কিন প্রশাসনও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলির সাহায্য নিয়ে এমন নজরদারির উদ্যোগ নিচ্ছে৷ বেশ কিছু কোম্পানি এমন তথ্য সরবরাহ করতে অস্বীকার করছে৷
এসবি/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)