1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বামী সন্তানের খুনি টেরেসা প্রাণভিক্ষা পাবেন কি!

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১০

পৃথিবীর অনেক দেশেই নারীদেরকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়না৷ কিন্তু অ্যামেরিকার মতো দেশে এখনও চালু আছে এটি৷ যা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মানবাধিকার কর্মীরা কথা বলে আসছেন৷

https://p.dw.com/p/PFon
এ ধরণের বিছানায় শুইয়ে ইনজেকশন দিয়ে মারা হবে টেরেসাকেছবি: AP

ভার্জিনিয়ায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত টেরেসার প্রাণদন্ড কার্যকর হবে কি শেষ পর্যন্ত?

মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত টেরেসা লিউইসের প্রাণদন্ড কার্যকর করার কথা আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর৷ কিন্তু এখনই মরতে চাইছেন না ৪১ বছর বয়সী টেরেসা৷ তাঁর আইনজীবী ও ধর্মযাজক, কেউই চাননা কার্যকর করা হোক টেরেসার মৃত্যুদন্ড৷ মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট যদি এই নারীর মৃত্যুদন্ডে হস্তক্ষেপ না করে এবং ভার্জিনিয়ার গভর্নর বব ম্যকডাওয়েল যদি তাঁর প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া রাজ্যের মধ্যে গত প্রায় একশো বছরের মধ্যে তিনিই হবেন প্রথম নারী, যাঁর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে৷

ভার্জিনিয়ায় নারীদের জন্য বিশেষ ভাবে সুরক্ষিত জেলখানায় ২০০৩ সাল থেকে বন্দি রয়েছেন টেরেসা৷ স্বামী ও সৎ ছেলেকে খুন করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর থেকে তিনি জেলবন্দি৷ যন্ত্রণাহীন লেথাল ইনজেকশানের মাধ্যমে টেরেসার মৃত্যুদন্ড কার্যকরী করার কথা রয়েছে গ্রীণসভিলের কারেকশনাল সেন্টারে৷

গ্রিনসভিলের ধর্মযাজক লিন লিচফিল্ড এখন টেরেসার চোখেমুখে দেখতে পাচ্ছেন হতাশা আর অনুশোচনা৷ টেরেসার প্রার্থনা অনুশোচনার অশ্রুজলেরও সাক্ষী তিনি৷ সম্প্রতি নিউজ উইক ম্যাগাজিনে লিচফিল্ড লিখেছেন, ‘আমার মন বলছে, এই নারী মরে যেতে পারেনা৷ কিন্তু ওর জন্য আমার বেশ ভয় হচ্ছে৷ তবে সৃষ্টিকর্তার ওপর আমার বিশ্বাস আছে৷'

১৯৭৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ১২শ' মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে৷ তাদের মধ্যে নারী ছিলেন মোট এগারো জন৷ বিচারের সময় টেরেসা আদালতকে জানান, স্বামী ও সন্তানকে হত্যা করার জন্য ২০০২ সালে তিনি দু'জনকে ভাড়া করেছিলেন৷ তিনি স্বীকার করেছেন, তাঁর স্বামী ও সন্তানকে যখন খুনেরা গুলি করে তিনি রান্নাঘরে বসে ছিলেন৷ এবং তাঁর স্বামী যখন রক্তাক্ত অবস্থায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছিলেন তখনও তাঁকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেননি তিনি৷

আর স্বামী সন্তানকে হত্যার পেছনের মূল কারণটিও স্পষ্ট৷ স্বামীর নামে আড়াই লাখ মার্কিন ডলারের বিমার অর্থ আত্মসাৎ করতেই এই খুনের পরিকল্পনা ছিল তাঁর৷ কারণ আরও ছিল, সেটা হচ্ছে অপর এক পুরুষের সঙ্গে টেরেসার সম্পর্ক৷

এখন দেখা যাক, ঠান্ডা মাথায় দুজনকে খুন করানোর পর টেরেসার প্রাণ থাকে, নাকি বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে তাঁকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্তই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট৷

প্রতিবেদন : জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়