1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বাধীনতা দিবসের দাবী: যুদ্ধাপরাধের দ্রুত বিচার

২৬ মার্চ ২০১০

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে বেদনাময় অতীত স্মৃতিই যেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গটিকে আরো বড় করে দাঁড় করিয়েছে মঞ্চে৷

https://p.dw.com/p/MfJC
ছোটদের খুশী কি অতীতের অপরাধকে ভুলিয়ে দিতে পারে?ছবি: AP

ভোরের আলো ফোটার পর পরই সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী৷ তাঁরা স্মৃতিসৌধের বেদীতে দাড়িয়ে স্মরণ করেন একাত্তরের বীর শহীদদের৷

এরপর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রি পরিষদের সদস্য, বিরোধি দলীয় নেত্রী, বিদেশি কুটনীতিক ও রাজনৈতিক নেতারা৷ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের জানান, খুব দ্রুতই শুরু হবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ৷ ট্রাইবুন্যাল গঠন করে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ তিনি একাজে বিরোধি দলের সহায়তা চান৷

জবাবে বিএনপি মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তারাও চান৷ কিন্তু তা হতে হবে নিরপেক্ষ৷

রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর স্মৃতিসৌধে নামে সাধারণ মানুষের ঢল৷ তাদের সবার মুখে একটিই কথা: যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত বিচার করতে হবে৷ রাজধানীসহ সারাদেশে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হচ্ছে৷ আয়োজন রয়েছে শিখা চিরন্তনে, বধ্যভূমিতে৷ আর ছিল শিশু-কিশোর সমাবেশ৷ বঙ্গবন্ধু ষ্টেডিয়ামের এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের মুক্তযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানানোর কথা বলেন৷

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু হবে যে কোন সময়৷ আর প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট জিয়াদ আল মালুম বলেছন, শুধু ব্যক্তি নয়, যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ বাঙালী স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিল৷ আর সেই স্বাধীনতা দিবসের শপথ যুদ্ধাপরাধের বিচার৷

প্রতিবেদক: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী