1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বল্পখরচের প্রযুক্তির সঙ্গে মিতালি ভারতের কৃষকদের

৭ সেপ্টেম্বর ২০১০

স্বল্পখরচে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আবহাওয়া, বাজারদর, স্বাস্থ্য ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য পাচ্ছেন ভারতের কৃষকরা৷ এই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সময়, অর্থ ও জনশক্তির সাশ্রয় হচ্ছে, যা দেশটির অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখতে পারে৷

https://p.dw.com/p/P63b
মোবাইল, ফোন, আবহাওয়া, বাজারদর, স্বাস্থ্য, ভারত
ছবি: AP

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের নাসিক শহরের উপকণ্ঠে আঙুরের একটি জমি৷ সঞ্জয় শেঠ তার এই জমিতে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে একটি নম্বর টিপছিলেন৷ বলছিলেন, ‘‘সঞ্জয় শেঠ বলছি৷'' ৩৬ বছর বয়সি এই আঙুর ও টমেটো চাষী স্থানীয় মারাঠি ভাষায় বলছিলেন, ‘‘আগামীকাল কি বৃষ্টি হতে পারে?'' কথা বলার ধরণ এমন যেন তাঁর কোন বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছেন৷ ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে বলা হলো, ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে এবং তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে নেমে আসতে পারে৷

ভারতের প্রতিযোগী মোবাইল ফোন মার্কেটের প্রধান ক্রেতা হিসেবে সঞ্জয়ের মতো কৃষকদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে, যারা দেশটির মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা বাড়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছেন৷

ভারতে প্রতিমাসে গ্রাহক সংখ্যা ১৬ থেকে ২০ মিলিয়ন করে বাড়ছে৷ শুধু গত বছরেই দেশটির মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার শতকরা ৪৯ ভাগে এসে পৌঁছেছে৷ অনেকেই বলছেন, আগামী দু'বছরের মধ্যে ভারতে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১ দশমিক ১ বিলিয়নে এসে দাঁড়াবে৷ কেউ কেউ এখনই একের বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন, যাদের চারভাগের একভাগই বাস করেন গ্রামে৷

কিন্তু যেখানে ভারতের বড় বড় শহরের মানুষরা এরইমধ্যে দ্রুতগতি সম্পন্ন ইন্টারনেটসহ তৃতীয় প্রজন্মের ফোন ব্যবহার করে, সেখানে কম দামের এইসব প্রযুক্তি গ্রামের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই তৈরি করা হচ্ছে৷ এ নিয়ে মুম্বই এর অ্যাম্বিট ক্যাপিটাল'এর টেলিকম গবেষণা বিশ্লেষক অমিত আহিরে বললেন, ‘‘মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানগুলো এলাকাভেদে বাজার বিবেচনা করে তাদের পণ্য সরবরাহ করছে৷''

এরই মধ্যে কৃষকদের জন্য বিশেষ কিছু প্যাকেজের ব্যবস্থা করেছে ভোডাফোন, ভারতি এয়ারটেলসহ নামিদামি ফোন কোম্পানিগুলো৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন