স্পেস স্টেশন থেকে তোলা পৃথিবীর ছবি
জার্মানির মহাকাশচারী আলেক্সান্ডার গেয়ার্স্ট বুধবার দ্বিতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র, আইএসএস-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছেন৷ প্রথমবার আইএসএস-এ থাকাকালীন তিনি পৃথিবীর ছবি তুলে টুইটও করেছিলেন৷
বিজ্ঞানের চেয়ে বেশিকিছু
‘হ্যালো বার্লিন, এখান থেকে আমি কোনো সীমানা দেখতে পাচ্ছি না,’ ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর টুইটারে লিখেছিলেন গেয়ার্স্ট৷ সেদিন ছিল বার্লিন প্রাচীর পতনের ২৫তম বার্ষিকী৷ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র, আইএসএস-এ থাকাকালীন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি তিনি সেখান থেকে পৃথিবীর ছবি তুলতেন৷ পরে টুইট করে সাধারণ মানুষকে সেগুলো দেখার সুযোগ করে দিয়েছিলেন৷
শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা
মেরুপ্রভা, নর্দার্ন লাইটস কিংবা অরোরা, যে নামেই ডাকুন না কেন, এটি প্রকৃতির একটি আশ্চর্য খেলা৷ গেয়ার্স্ট সেই মেরুপ্রভার ছবিও তুলেছেন৷ তবে তাঁর সৌন্দর্য শব্দ দিয়ে বর্ণনা করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি৷ গেয়ার্স্ট অরোরা নিয়েও গবেষণা করেছিলেন৷
জিওচ্যালেঞ্জ
এটি পর্বত কিংবা আগ্নেয়গিরির ছবি নয়৷ এটি অ্যারিজোনার ‘বেরিঙ্গার মেটেওরাইট ক্র্যাটার’-এর ছবি৷ গেয়ার্স্ট #জিওচ্যালেঞ্জ দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে সবার কাছে জানতে চেয়েছিলেন– ছবিটি কোথাকার?
ঝড়ের চোখ
ছবিতে চোখের দেখা পাচ্ছেন? কালো অংশটিকে ছোট্ট গর্ত মনে হচ্ছে৷ আসলে ঐ গর্ত ৫০ মাইল প্রশস্ত! হ্যাঁ, ৫০ মাইল৷ এটি টাইফুনের ছবি৷
‘এখন পর্যন্ত আমার তোলা সবচেয়ে দুঃখের ছবি’
ছবিতে গাজা ও ইসরায়েলে বিস্ফোরণ আর রকেট দেখা যাচ্ছে৷ তাই এটিকেই তাঁর তোলা সবচেয়ে দুঃখের ছবি বলেছিলেন গেয়ার্স্ট৷
কৃষিজমি
বলে না দিলে কি কেউ বুঝবেন যে এই ছবিতে মেক্সিকোর এক অনুর্বর এলাকায় সেচ দেয়া কৃষিজমি দেখা যাচ্ছে?
শিল্পকর্ম?
খালিচোখে এটি দেখতে কোনো শিল্পীর আঁকা ছবি মনে হচ্ছে৷ কিন্তু আসলে ছবিতে কাজাখস্তানের একটি নদী দেখা যাচ্ছে, যেটি সাপের মতো একেবেঁকে বয়ে চলেছে৷
সাহারা
এই ছবি পোস্ট করে গেয়ার্স্ট লিখেছিলেন, আইএসএস-এর ভেতর হলুদ রংয়ের আভা দেখলে, তিনি না দেখেই বলে দিতে পারতেন যে, তাঁরা এখন আফ্রিকার উপর আছেন৷ ছবিটি সাহারা মরুভূমির লিবিয়া অংশে তোলা৷
কমান্ডারের দায়িত্ব
হ্যাঁ, ইনিই সেই আলেক্সান্ডার গেয়ার্স্ট৷ জার্মানির এই মহাকাশচারী ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো প্রায় ছয়মাসের জন্য আইএসএস-এ গিয়েছিলেন৷ এবার তাঁর দ্বিতীয় মহাকাশযাত্রায় তিনি কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করবেন৷ শুক্রবার তিনিসহ অন্যান্যদের আইএসএস-এ পৌঁছানোর কথা৷