স্পেন ডুবে আছে আনন্দ সাগরে
১২ জুলাই ২০১০জয় শব্দটির মধ্যে সব সময়ই একটা আনন্দের ব্যাপার আছে৷ আর তা যদি হয় বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ, তাহলে তো আর কথাই নেই৷ স্পেন ভাসছে সেই আনন্দ সাগরে! রবিবার রাতে বিজয়ের পর স্পেন জুড়ে চলছে আনন্দ বন্যা৷ হাজার হাজার মানুষ নেচে গেয়ে প্রকাশ করছে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ৷ উল্লাস.. উৎসব চারিদিকে৷ প্রায় সকলের পরনে নানা রঙের নানা ঢঙের পোশাক৷ প্রায় সকলের চেহারায় লাল আর সোনালি রঙের আঁকিবুঁকি৷
নিজের দেশের খেলা যখন হলো তখন স্পেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকে জড়ো হয়েছিলেন শহরের কেন্দ্রস্থলের এক পার্কে৷ এখানে লাগানো হয়েছিল বিশাল এক টিভি পর্দা৷ কত লোক এক সঙ্গে এখানে খেলা দেখেছেন? উত্তরে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, দেড় লাখ৷
এখানেই উপস্থিত আঠারো বছর বয়স্ক রাউল৷ আনন্দে উদ্বেলিত রাউলের মন্তব্য, ২০০৮ সালে ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন হবার পর এই বিজয় আমাদের কাম্য ছিলো৷ আমরা খুব খুশি, খুব সুখী, আমরা আনন্দিত৷ কেউ কেউ অক্টোপাস পল-কে ভালোবাসা জানিয়েছেন!
উৎসবে যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে কারণে রাজধানী মাদ্রিদে মোতায়েন রয়েছে ২০ হাজার পুলিশ৷ তাদের সঙ্গে আছে মেডিকেল এবং ফায়ারব্রিগেড দল৷
এদিকে, প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ শিরোপা জেতায় স্প্যানিশ সংবাদ মাধ্যমগুলো এটিকে 'অসাধারণ' এবং 'ঐতিহাসিক' বলে আখ্যায়িত করেছে৷
দেশটির শীর্ষ দৈনিক এল পাইস প্রথম পাতায় প্রধান শিরোনাম দিয়েছে 'চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড '৷ সেখানে সতীর্থ বেষ্টিত হয়ে গোলরক্ষক ইকার কাসিয়াসের মাথার ওপর বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার একটি ছবিও ছাপা হয়েছে৷ লেখা হয়েছে, আমাদের স্বপ্ন পূরণ হলো৷
দৈনিক এল মুন্ডোর শিরোনাম 'স্পেন স্পেন এবং স্পেন....এখান থেকেই শুরু৷'
অন্যদিকে, ফাইনালে চাম্পিয়ন হবে এই আশায় ডাচদের সব রকমের প্রস্তুতি ছিল৷ কিন্তু ১ গোলে হেরে যাওয়ায় সব ভেস্তে গেলো৷ নেদারল্যান্ডসের শহরগুলো যেন এখন শোকে পাথর৷ ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ সালের পর এবারো শিরোপা হাতছাড়াই থেকে গেলো৷ উৎসবের জন্য তারাও রঙিন পোশাক পরেছিলেন৷ পরেছিলেন কমলা রঙের জার্সি৷ কিন্তু ওলন্দাজদের সেই আশায় গুড়ে বালি৷ ফাইনালের শেষ বাঁশি বাজতেই রাজধানীর মিউজিয়াম স্কয়ারের সামনে বড় পর্দায় খেলা দেখে লক্ষাধিক মানুষ দু:খ বুকে নিয়ে ফিরে গেছেন বাড়িতে৷
প্রতিবেদন' সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল- ফারূক