স্পেনে ‘বিশ্বসেরা’ চাকরিতে ইরানের ডাক্তার
এক বছর ধরে ছুটি উপভোগ করা হয়নি৷ কারো না কারো মৃত্যু দেখছেন প্রতিদিন৷ এ অবস্থাতেও মাদ্রিদে বিশ্বসেরা চাকরিই করছেন বলে মনে করেন ডা. নাভিদ বেহজাদি কুচানি ৷ চাকরিটা কেমন? দেখুন ছবিঘরে...
স্পেনে করোনা পরিস্থিতি
করোনা সংকটে ইউরোপের সবচেয়ে কাহিল দেশগুলোর একটি স্পেন৷ গত এক বছরে সেখানে করোনায় সংক্রমিত হয়েছে ৩০ লাখ মানুষ, মৃত্যু হয়েছে ৭১ হাজারেরও বেশি জনের৷
স্বাস্থ্যকর্মীরা ক্লান্ত
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে, গত এক বছরে বিরামহীনভাবে কাজ করতে করতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের শতকরা ৪৫ ভাগই এখন নানা ধরনের মানসিক সমস্যায় পড়ার ঝুঁকিতে৷
ডা. নাভিদ ও তার দল
করোনা সংকট শুরুর পর থেকে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে৷ এ বছর তাদের কাজ বেড়েছে তিন গুণ৷ ডা. নাভিদ বেহজাদি কুচানি ও তার সহকর্মীরা প্রতিদিন গড়ে চার হাজার মানুষকে সেবা দেন৷
পরিজন থেকে দূরে
সারা ডিয়াজকাস্ত্রো মাদ্রিদের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের নার্স৷ গত এক বছরে একবারের জন্যও বৃদ্ধ মা-বাবাকে দেখতে যেতে পারেননি৷
ডা. মাসুদের কষ্ট এবং সান্ত্বনা
ইরান থেকে আসা ডা. নাভিদ বেহজাদি কুচানি জানালেন, কারো প্রাণ বাঁচালে ভীষণ ভালো লাগে৷ তবে ৩৫ বছর বয়সি এক তরুণকে বাঁচাতে না পারা তাকে এখনো কষ্ট দেয়৷ সেই তরুণের স্ত্রী আগেই ভর্তি হন হাসপাতালে৷ পরে নিজেও অসুস্থ হয়ে শিশু সন্তানকে বাসায় রেখে হাসপাতালে এসে আর ফিরতে পারেননি৷ তার কথা মনে পড়লে নিজের বেঁচে থাকাকেও সৌভাগ্যের মনে হয় ডা. মাসুদের৷
সামনে সুদিন
ডা. নাভিদ বেহজাদি কুচানি বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি আমরা যে চাকরিটা করছি তা বিশ্বের সেরা চাকরি৷’’ তার মতে, যে কাজ করে মানুষকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনা যায় তার চেয়ে ভালো কাজ আর হতে পারে না৷ তার আশা, ‘‘কয়েক মাসের মধ্যেই আমরা মাস্ক খুলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবো, মানুষের সঙ্গে কোলাকুলি করতে পারবো এবং অবসর সময়ে বন্ধুদের সঙ্গে বিয়ার খেতে পারবো৷’’