স্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয়
স্ট্রোক! শুনলেই কেমন যেন আঁতকে উঠে সবাই৷ মস্তিষ্কের রক্ত চলাচলে ব্যাঘাতের কারণে হতে পারে স্ট্রোক৷ ফলে শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যেতে পারে৷ বাকশক্তিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ সারাজীবন হয়তো বা হুইলচেয়ারে চলতে হতে পারে৷
স্ট্রোক বিপজ্জনক
মস্তিষ্কের রক্ত চলাচলে ব্যাঘাতের কারণে এই রোগ যে কোনো সময় যে কারও হতে পারে একেবারে হঠাৎ করেই৷ স্ট্রোক হলে বাকশক্তি, দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে যেতে পারে৷ শরীরের যে-কোনো অংশ অবশ হতে পারে৷ সারাজীবন হয়তো বা হুইলচেয়ারে চলতে হতে পারে৷ তবে এটা নির্ভর করে মস্তিষ্কের কোন অংশে স্ট্রোক হয়েছে বা আঘাতটা কত বেশি তার ওপর৷
স্ট্রোকের লক্ষণ ও ঝুঁকি
মাথা ঘুরানো, হাটতে অসুবিধা হওয়া, চোখে ঘোলাটে দেখা এসব অসুবিধা দেখা দেয় স্ট্রোক হওয়ার আগে৷ ডায়াবেটিস, অতিরিক্ত মোটা, উচ্চরক্তচাপ, ধূমপান, মদ্যপান, স্ট্রেস ইত্যাদি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়৷
একেবারেই দেরি নয়
যে-কোনো জায়গায় যে-কোনো সময় মস্তিস্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে৷ তখন দেরি না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে তা না হলে হয়তো দেরি হয়ে যেতে পারে৷
জার্মানিতে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা
প্রতি বছর জার্মানিতে ২৬০,০০০ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে৷ মৃত্যুর কারণ হিসেবে স্ট্রোকের স্থান তৃতীয় ৷ সারা বিশ্বেই স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে৷
গবেষণা
আর সে কারণেই স্ট্রোক নিয়ে গবেষণা জরুরি হয়ে পড়েছে৷ জার্মানিতে গত ২০ বছরে স্ট্রোক থেরাপি বেশ শক্তিশালী হয়েছে, বলেন প্রফেসর ইওয়াখিম রোটার, হামবুর্গ আসক্লেপিয়োস ক্লিনিক৷ স্ট্রোকে আক্রান্ত গড় আয়ু মেয়েদের ৭৫ আর পুরুষদের ৭০ বছর৷ স্ট্রোকের কবলে পড়তে পারে শিশু কিশোররাও৷
শিশুরাও এর বাইরে নয়
জার্মানিতে প্রতিবছর স্ট্রোকে আক্রান্ত হয় ৩০০ শিশু ৷ এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ আবার নবজাতক শিশু৷শুধু তাি নয় মাতৃগর্ভেও আক্রান্ত হতে পারে শিশু৷ তাছাড়া বংশগত কারণে এমনটা হতে পারে৷শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কয়েক মাস বা কয়েক বছর পর হয়তো মস্তিষ্কের ক্ষতি ঠিক মতো বোঝা যায়৷
নিয়মমতো চলতে হবে
স্ট্রোক হলে মানুষ মুহূরতেই অথর্ব হয়ে যেতে পারে৷ তাদের হতে হয় পরের উপর নির্ভরশীল৷ তাদের বুঝে শুনে খাওয়া-দাওয়া করতে হয়৷ করতে হয় নিয়মিত ব্যায়াম৷ এড়িয়ে চলতে হয় বাড়তি স্ট্রেস৷ কারণ যদি কারও দ্বিতীয়বার স্ট্রোক হয় তাহলে পরিণতি মারাত্মক হতে পারে৷ কাজেই প্রথমবার স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়৷ নিয়মিত ব্লাডপ্রেশার মাপা প্রয়োজন এবং হাসিখুশি থাকাটাও জরুরি৷