1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্ট্যাচু অব লিবার্টির দ্বার আবার বন্ধ হচ্ছে

১১ আগস্ট ২০১০

সাধারণের জন্য আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে স্ট্যাচু অব লিবার্টির দ্বার৷ তবে এবারের কারণ নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নয়৷ বরং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো মজবুত করা৷

https://p.dw.com/p/Ohzf
কিছুদিন নিরিবিলিতে কাটাতে পারবেন এই নারীছবি: AP

এক হাতে মশাল নিয়ে লিবার্টি আইল্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন এক নারী৷ শৃঙ্খল ভেঙে উঠে দাঁড়িয়েছেন তিনি৷ সেটাই স্ট্যাচু অব লিবার্টি- মুক্তির প্রতীক, অ্যামেরিকারও৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ফরাসিদের সম্প্রীতির উপহার এই ভাস্কর্য৷ অ্যামেরিকায় গেলে দর্শনীয় স্থানের যে তালিকা সবাই করেন, তার ওপর দিকেই থাকে স্ট্যাচু অব লিবার্টির নাম৷ তাই গড়ে প্রতিদিন ২০ হাজার দর্শনার্থী পায় স্ট্যাচু অব লিবার্টি৷ আর বছরের হিসেব কষলে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৫০ লাখ৷

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার পর স্ট্যাচু অব লিবার্টি একবার সর্ব সাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ তিন বছর পর আবার তা উন্মুক্ত হয়৷ এর পর গত জুলাই মাসে হঠাৎ করেই নিরাপত্তা অ্যালার্ম বেজে উঠলে তড়িঘড়ি করে দর্শনার্থীদের নামিয়ে দেওয়া হয়৷ পরে অবশ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি কিছু৷ পরে বোঝা গেল, ফলস অ্যালার্ম৷ এরপরই কর্মকর্তাদের মাথায় আসে, সংস্কার করতে হবে৷ আর সেই জন্যই বন্ধ হচ্ছে স্ট্যাচু অব লিবার্টি৷ আগামী ১২ অক্টোবর ১২৫ বছর পূর্তি হচ্ছে এর৷ আর সে অনুষ্ঠানই শেষ৷ অন্তত এক বছর সেখানে আর উঠতে পারবেন না কেউ৷

New Yorker Freiheitsstatue vor Wiedereröffnung
নাইন ইলেভেন সহ অনেক ঘটনার সাক্ষী এই মূর্তিছবি: dpa

স্ট্যাচু অব লিবার্টি ন্যাশনাল মনুমেন্টের তত্ত্বাবধায়ক ডেভিড লুসিঙ্গার জানান, সংস্কারের জন্য বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে৷ বাজেট ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার৷ স্ট্যাচুতে ওঠার সিঁড়ির অগ্নি নিরোধক ব্যবস্থা, এলিভেটর ও বহির্গমন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হবে বলে জানালেন লুসিঙ্গার৷

১৮৮৬ সাল থেকে নিউ ইয়র্ক উপকূলে লিবার্টি দ্বীপে দাঁড়িয়ে আছে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি৷ দ্বীপটিও তৈরি হয়েছে ফ্রেদেরিকো বার্থোলদির ভাস্কর্যটি বসানোর জন্যই৷ ছোট্ট দ্বীপের পুরোটা বাগান, আর এর মধ্যেই ৪৬ মিটার উঁচু ওই ভাস্কর্য৷ এটি আবার দাঁড়িয়ে আছে ৪৭ মিটার উঁচু স্তম্ভের ওপর৷ ভাস্কর্যটির ওজন ২০৪ মেট্রিক টন৷

স্ট্যাচু অব লিবার্টি দেখতে যেতে হয় নিউ ইয়র্ক কিংবা নিউ জার্সি থেকে, নৌপথে৷ তল্লাশির পরই মেলে লিবার্টি দ্বীপে পা রাখার ছাড়পত্র৷ ভাস্কর্যের স্তম্ভেই শুধু নয়, ওঠা যায় চূড়া অবধি৷ ভাস্কর্যটির মাথায় যে মুকুট রয়েছে, একদম সে পর্যন্ত৷ তাই সব সময়ই মুকুটের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেয় মানুষের মুখ৷ তবে সংস্কারের জন্য এক বছর আর দেখা যাবে না সে চিত্রের৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ