1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্টেশন মাটির উপরে, না নিচে - উত্তর গণভোটে

২১ এপ্রিল ২০১১

মাটির উপরের রেল স্টেশন আন্ডারগ্রাউন্ডে মানে মাটির তলে নিয়ে যাওয়া হবে কি না তা নিয়ে গণভোটের আয়োজন করবে জার্মানির বাডেন-ভ্যুর্টেমবেয়ার্গ রাজ্যের রাজধানী শহর স্টুটগার্ট৷ অক্টোবরে এই ভোট অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/111st
‘স্টুটগার্ট ২১’ নামের এই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভছবি: AP

স্টুটগার্ট৷ রাজ্যের নামের চেয়ে বিশ্ববাসীর কাছে জার্মানির এই শহরের নামটিই বেশি পরিচিত এখন৷ সেখানকার প্রধান রেলস্টেশন নিয়ে গত ক'মাস ধরেই বেশ বিক্ষোভ চলছে৷ এমনকি সেটা গতমাসের রাজ্য নির্বাচনেও বেশ আলোচিত একটা ইস্যু ছিল৷

বিষয়টা হচ্ছে, স্টেশনটি মাটির তলে নিয়ে যেতে চায় সরকার৷ এব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় ১৯৯৫ সালে৷ সেসময় কথা ছিল এই কাজে খরচ হবে ২.৬ বিলিয়ন ইউরো৷ যার যোগান আসবে জাতীয় রেল সংস্থা ডয়চে বান, স্টুটগার্ট শহর কর্তৃপক্ষ ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে৷

কিন্তু পরবর্তীতে সেই খরচের পরিমাণ কয়েক দফা বাড়ানো হয়৷ এখন বলা হচ্ছে ব্যয় হবে ৪.১ বিলিয়ন ইউরো৷ আগের চেয়ে যেটা প্রায় দেড় বিলিয়ন ইউরো বেশি৷

আগের রক্ষণশীল সরকার বলছিল, নতুন স্টেশন হলে ইউরোপের বিভিন্ন শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়বে৷ কারণ তখন বিভিন্ন দেশের ট্রেন এই শহর ব্যবহার করবে৷ এর ফলে পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে৷

কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, এতে খরচের যে হিসেব দেয়া হয়েছে সেটা অনেক বেশি৷ এবং এটাকে অপচয় বলা যায়৷ এছাড়া পরিবেশের জন্যও এটা একটি ক্ষতিকর প্রকল্প হবে৷

গত মাসে অনুষ্ঠিত রাজ্য নির্বাচনে জয়ী ‘সবুজ দল' বিরোধীদের এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছিল৷ যেটা তাদের বিজয়ে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন৷ উল্লেখ্য, এর আগে এই রাজ্য অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিল খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী দল৷ কিন্তু স্টেশন ইস্যু সহ পারমাণবিক চুল্লির মেয়াদ বিষয়ক বিতর্কের কারণে হার মানতে হয় এই দলকে৷ এবার সরকার গড়ছে সবুজ দল ও তার সহযোগী হিসেবে সামাজিক গণতন্ত্রী দল৷

এদিকে রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন যিনি, সবুজ দলের সেই রাজনীতিক ভিনফ্রিড ক্রেটশমান বলেছেন, তাঁর দল আন্ডারগ্রাউন্ডে স্টেশন নিয়ে যাওয়ার বিরোধী৷ তবে ভোটারদের মতামত জানতে গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ ভোটাররা যেটা চাইবেন সেটাই হবে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক