স্টেফি গ্রাফের পর আবার প্রথম: জার্মানির আঞ্জেলিক ক্যারব্যার
মহিলাদের পেশাদারি টেনিসে স্টেফি গ্রাফের পর আবার পয়লা বাছাই হলেন একজন জার্মান তরুণী: আঞ্জেলিক ক্যারব্যার৷ কীভাবে শীর্ষে পৌঁছালেন তিনি?
২০০৩-এ পেশাদার
জন্ম উত্তর জার্মানির ব্রেমেন শহরে, ১৯৮৮ সালে৷ মা বেয়াটা জার্মান, বাবা স্লাভেক পোল্যান্ডের মানুষ৷ তিন বছর বয়সে প্রথম টেনিস ব়্যাকেট হাতে করেন আঞ্জেলিক৷ পরে কিল শহরের একটি ট্রেনিং অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ৷ ১৫ বছরে পেশাদার, ২০১৮ সালে বেলজিয়ামে প্রথম বড় টুর্নামেন্ট খেলা৷
২০০৭-এ প্রথম ১০০ বাছাইয়ের মধ্যে
আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের চারটি টুর্নামেন্টে জিতে প্রথম একশ’য় স্থান নেন ক্যারব্যার৷ ফ্রেঞ্চ ওপেন, উইম্বলডন ও ইউএস ওপেনের মুখ্য বাছাইতে থাকলেও নিউ ইয়র্কে প্রথম রাউন্ডে সেরেনা উইলিয়ামস-এর কাছে হার৷
২০০৮-এ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছানো
এর আগে কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় রাউন্ড অবধি অগ্রসর হতে পারেননি ক্যারব্যার৷
২০১১ প্রায় হাল ছেড়েছিলেন
১৩টি টুর্নামেন্টে খেলে তার মাত্র তিনটিতে দ্বিতীয় রাউন্ড অবধি পৌঁছাতে পেরেছিলেন৷ এমনকি অবসর নেবার কথা ভাবছিলেন! পরে ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দেন ক্যারব্যার৷
২০১২-র ব্রেকথ্রু
ফেব্রুয়ারিতে টপ টোয়েন্টি, মে মাসে টপ টেন, অক্টোবর মাসে টপ ফাইভ: ধূমকেতুর মতো ওঠেন ক্যারব্যার৷ উইম্বলডনে সেমিফাইনালে পৌঁছান৷ সিনসিন্যাটিতে প্রথমবারের মতো সেরেনা উইলিয়ামসকে হারান৷
২০১৩-য় স্টেডি
যেমন লিনৎস-এর এই টুর্নামেন্টটিতে জিতে৷ মরশুমের শেষে বিশ্বের আটজন সেরা খেলোয়াড়ের তথাকথিত ডাব্লিউটিএ ফাইনালস-এও অংশ নেন ক্যারব্যার৷
২০১৫-য় পুরনো কোচের প্রত্যাবর্তন
কোচ টর্বেন বেলৎস আঞ্জেলিক ক্যারব্যারকে নিজের হাতে গড়েছিলেন, যদিও ২০১৩ সালে দু’জনের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়৷ ২০১৫ সালে আবার বেলৎসকে ফিরিয়ে আনেন ক্যারব্যার৷ শুরু হয় তাঁর জয়যাত্রা৷
২০১৫-য় জয়ের পর জয়
বার্মিংহ্যাম-এ খেতাব জেতা (ছবি) ছাড়াও এ-বছর চারটি ডাবলিউটিএ টুর্নামেন্টে বিজয়িনী হন ক্যারব্যার৷
২০১৬-য় প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়
এখানেও জার্মান মহিলা টেনিসের ইতিহাসে স্টেফি গ্রাফের পর একমাত্র আঞ্জেলিক ক্যারব্যার-ই এই অসাধ্যসাধন করতে সমর্থ হয়েছেন, ফাইনালে বিশ্বের পয়লা বাছাই সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে৷
প্যারিস বিভ্রাট
ফ্রেঞ্চ ওপেনের প্রথম রাউন্ডেই নেদারল্যান্ডস-এর কিকি বের্টেন্স-এর কাছে হেরে যান ক্যারব্যার৷ সেই সঙ্গে কাঁধে চোট৷
আরেকটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল
উইম্বলডনের গ্রাস কোর্টে কিন্তু ক্যারব্যার ঠিকই আবার ফাইনালে পৌঁছান৷ বিশ্বের দ্বিতীয় বাছাই হিসেবে হারেন পয়লা বাছাই সেরেনা উইলিয়ামস-এর কাছে৷
রিও-তে রুপো
অলিম্পিকে ক্যারব্যার ফাইনালে পৌঁছান একটি সেট না হারিয়ে৷ তারপর বিশ্বের ৩৪ নম্বর বাছাই পুয়ের্তো রিকোর মোনিকা পুচ-এর কাছে পরাজয়, কাজেই সোনার বদলে রুপো৷
নতুন পয়লা বাছাই
ইউএস ওপেনে সেরেনা উইলিয়ামস হারলেন প্রথম সেমিফাইনালে, অপরদিকে আঞ্জেলিক ক্যারব্যার খেতাব জিতে হলেন বিশ্বের নম্বর ওয়ান৷