1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্টার্ট-আপ শেখানোর অ্যাপ

১৬ মার্চ ২০১৭

আরব তরুণী খাদিজা হামুচি লন্ডনে শিক্ষকতার পেশা ছেড়ে সুদূর সান ফ্রান্সিসকোতে এসেছেন, তাঁর স্টার্ট-আপের জন্য কিছু শিখতে৷ খাদিজা বিশেষ করে আরব তরুণ-তরুণীদের জন্য একটি অ্যাপ সৃষ্টি করতে চান৷

https://p.dw.com/p/2ZDzX
Gaza - Sky Geeks - Nour el Khoudary
ছবি: DW/T. Krämer

স্টার্ট-আপ শেখায় যে অ্যাপ

সান ফ্রান্সিস্কোর একটি স্টার্ট-আপ ওয়ার্কশপ৷ খাদিজা হামুচি এখানে তিন মাসের জন্য এসেছেন৷ তিনি একটি অ্যাপ তৈরি করতে চান, যা কোম্পানি প্রতিষ্ঠা সম্পর্কে আরব তরুণ-তরুণীদের নিজের ভাষায় যাবতীয় তথ্য দেবে৷ এ ধরনের একটি অ্যাপের ভালো সুযোগ আছে বলে খাদিজার বিশ্বাস৷

খাদিজা বলেন, ‘‘যুব সমাজের শিক্ষার কথা বললেই লোকে বলে: ওটা কি তাদের উগ্রপন্থি মতবাদ থেকে সরিয়ে আনার কোনো কর্মসূচি? এখনও বহু মানষের ধারণা যে, আরব আর মুসলিম হলেই সন্ত্রাসী হবার একটা সহজাত প্রবণতা থাকবে৷ যেন  ৩৭ কোটি ৫০ লাখ মানুষ আরব বলে শুধু উগ্রপন্থি হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন৷''

খাদিজা নিজে নানা ধরনের জিনিস পরখ করতে পেরেছেন৷ স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠার ওয়ার্কশপে গেছেন, নেটওয়ার্কিং করেছেন, আরব দুনিয়ার তরুণ-তরুণীরা এসব সুযোগ সাধারণত পায় না৷ অনেকে পড়াশোনা শেষ করে হয় সরকারি চাকরি, নয়ত কোনো বড় কোম্পানিতে কাজ করে৷ তারা চায় নিরাপত্তা৷ নিজের মতো করে কিছু করার সাহস অধিকাংশেরই নেই৷

উদ্যোক্তা

খাদিজা তাঁর প্রকল্পের অর্থায়ন করেন ক্রাউডফান্ডিং ও তাঁর নিজের সঞ্চয় থেকে৷ খাদিজা বলেন, ‘‘উদ্যোক্তা হওয়াটা নিঃসন্দেহে খুব নিঃসঙ্গ একটা কাজ, যে কাজে আবার কোনো নিশ্চয়তা নেই....আমাকে যে এই প্রকল্পের জন্য বার বার আমার বাসস্থান বদলাতে হচ্ছে, সেটা ভালোই৷ তা থেকে বোঝা যায় যে, আমি সত্যিই চেষ্টা করছি৷ আবার কখনে-সখনো মনে হয়, চিরকাল এক জায়গায় থাকতে পারলে, একই ঠিকানায় চিঠি পেতে পারলে ভালোই হতো৷''

২৬ বছর বয়সের খাদিজা তাঁর প্রকল্পের জন্য লন্ডনে শিক্ষিকার চাকরি ছেড়েছেন৷ তবে সান ফ্রান্সিস্কোতেও মজা করার সময় নেই: দিনে ১২, ১৪, ১৬ ঘণ্টা কাজ করেন খাদিজা৷

ঠিক সন্ধ্যে দশটার সময় দুবাইতে তাঁর সফ্টওয়্যার ডেভেলপারের সঙ্গে মিটিং শুরু হবে, ১২ ঘণ্টার ফারাক৷

যুবসমাজ কন্টেন্ট খুঁজছে

প্রোগ্রামার দয়ানা আবুদ যে শুধু খাদিজার অ্যাপের প্রোটোটাইপ তৈরি করছেন, তা নয়; তিনি খাদিজা হামুচিকে পরামর্শও দিয়ে থাকেন৷ আবুদ বলেন, ‘‘যুবসমাজ কন্টেন্ট খুঁজতে জানে না, অনলাইনে তারা বিশেষ কন্টেন্ট খুঁজে পায় না৷ ওদের কোনো না কোনো গাইডেন্স দরকার৷ কাজেই ওরা যখন অন্যান্যদের, কিংবা এমন কোনো প্ল্যাটফর্ম খুঁজে পায়, যেখানে যারা শিখতে চায়, তারা সকলে একত্রিত হয়েছে, তাহলে ওরা পরস্পরের সঙ্গে মিলে একে অন্যকে সমৃদ্ধ করতে পারে৷''

তথাকথিত আরব বসন্ত দেখিয়েছে, কত তাড়াতাড়ি ওরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে একজোট হতে পারে৷ খাদিজা বলেন, ‘‘ওরা জানে ওরা কী চায়৷ ওরা জানে, ওরা অন্য কিছু একটা চায়৷ ওরা জানে, ওরা চায় উন্নততর মানের, উন্নততর একটি শিক্ষাব্যবস্থা, উন্নততর স্বাস্থ্য প্রণালী৷ ওরা জানে, ওটা তাদের প্রাপ্য এবং ওরা সেটা দাবি করবে৷''

খাদিজা হামুচির পরবর্তী সফর হবে নয়টি আরব দেশে৷ সেখানে তিনি দেখবেন, তাঁর অ্যাপ যুবসমাজের মনের মতো হয় কিনা৷৷

গ্রিট হফমান/এসি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান