স্কুল পর্যায়ের শিক্ষা নিয়ে পাকিস্তানের দুশ্চিন্তা
পাকিস্তান চিন্তায় আছে স্কুলে যাওয়ার বয়স হয়ে যাওয়া পাঁচ কোটি শিশুকে নিয়ে৷ এত শিশুকে পড়ানোর মতো স্কুল এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নেই বলে বিষয়টি এখন বড় উদ্বেগের কারণ৷ দেখুন ছবিঘরে...
সারা দেশে ২ লক্ষ ২২ হাজার স্কুল
পাকিস্তানে মোট স্কুল আছে ২ লক্ষ ২২ হাজারটি৷ কিন্তু প্রায় ২০ কোটি মানুষের দেশের জন্য সংখ্যাটা খুব বড় নয়৷
অনেক শিশু শিক্ষার অধিকারবঞ্চিত
২০১৬ সালের এক প্রতিবেদনে পাকিস্তান সরকার বলেছে, দেশে কমপক্ষে ২ কোটি শিশু লেখাপড়া করার সুযোগ পাচ্ছে না৷ স্কুলে যেতে না পারা শিশুর প্রকৃত সংখ্যাটা ২ কোটির চেয়ে বেশি হবে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা৷
তিনবেলা খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা
প্রয়োজনের তুলনায় দেশে স্কুল অনেক কম৷ তাছাড়া দরিদ্র বাবা-মায়েদের পক্ষে সন্তানের লেখাপড়ার খরচ দেয়া কঠিন৷ এমন পরিবারের সন্তানদের মধ্যে মাদ্রাসায় যাওয়ার প্রবণতা প্রকট৷ মাদ্রাসায় থাকার ব্যবস্থা এবং তিন বেলা খাবার তো থাকে! গরিবের সন্তানরা ওইটুকুতেই খুশি৷
শিক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ছে
গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে৷ ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর শতকরা প্রায় ১৫ ভাগ ব্যয় বাড়ানো হচ্ছে৷
তবু অপ্রতুল
জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে বলেছে, পাকিস্তানে শিক্ষাখাতের বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ২ দশমিক ৬৫ ভাগ৷
সমাধান কী?
অনেকে বলছেন, স্কুল বাড়ানো হোক, বাড়ানো হোক শিক্ষাখাতের বরাদ্দ৷ কিন্তু তাতেই কি সমাধান হয়ে যাবে? পাকিস্তানের অনেক শিক্ষাবিদই তা মনে করেন না৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আল নাদওয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ইরফান শের বলেন, ‘‘শিক্ষার প্রতি সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গিটাই বদলাতে হবে৷ পরিবর্তন আনার একমাত্র উপায় যে মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ ছড়িয়ে দেয়া, তা তাদের (সরকার) বুঝতে হবে৷’’