স্কুইড সম্পর্কে ৯টি অজানা তথ্য
আট, দশ বা আরও বেশি হাত, সঙ্গে একটি বুদ্ধিদীপ্ত মস্তিষ্ক, সেই সাথে আছে পরিবর্তিত রঙের ছটা আর বিশালাকৃতি হওয়ার ক্ষমতা – এ সব গুণই আছে ‘সেফালোপড’ গোত্রীয় সামুদ্রিক প্রাণীদের মধ্যে৷ তাই ক্লিক করুন আর বিস্মিত হন!
অক্টোপাস – স্মার্ট আর কৌতূহলী
অক্টোপাস পলের কথা মনে আছে? ঐ যে, যে ২০০৮ সালের ইউরো ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ২০১০ সালের বিশ্বকাপের সব ফলাফল নির্ভুলভাবে বলে দিয়েছিল? আর এর জন্য জার্মান গণমাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছিল পল৷ অক্টোপাসদের জনপ্রিয় হওয়ার অবশ্য আরো কারণ আছে৷ এই যেমন, এরা শামুক জাতীয় প্রাণীর মধ্যে সবচেয়ে বুদ্ধিমান এবং ইঁদুরের মতো ধূর্ত৷ তাছাড়া খুব তাড়াতাড়ি কোনো কিছু শিখে নিতেও উস্তাদ এরা৷
চোষণ ক্ষমতা এবং আটটি বাহু
আট হাতের স্কুইডই হলো অক্টোপাস৷ প্রতিটি হাতে আছে অসংখ্য চোষক৷ আর আটটি হাতই সমানভাবে কাজ করে৷
মানুষের মতো চোখের লেন্স
মানুষের মতোই এদের চোখের গড়ন৷ আসলে সেফালোপড এবং মেরুদণ্ডী প্রাণীদের চোখের গড়ন একই রকম৷ তবে এদের চোখের বিশেষত্ব হলো, পানির নীচে দেখার ক্ষমতা৷ এছাড়া অক্টোপাসরা বর্ণান্ধ বা ‘কালার ব্লাইন্ড’৷
দ্রুত পরিবর্তনশীল শিল্পী
অক্টোপাসের দেহে কোনো কঙ্কাল বা অস্থি নেই৷ তাই সহজেই নিজেদের আকৃতি পরিবর্তন করতে পারে পারে৷ এমনকি বিপদ দেখলে নিজের রং-ও বদলাতে পারে৷ ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরে এক ধরনের অক্টোপাস দেখতে পাওয়া যায়, যারা অন্য প্রাণীদের আকার নকল করতে পারে৷ নিজেদের পরিবর্তন করে সাপ, স্টিং রে বা অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর আকার ধারণ করতে পারে এরা৷
আট না দশভূজা
অক্টোপাস অষ্টভূজ, অর্থাৎ তাদের আটটি হাত আছে৷ আর স্কুইডের আছে ১০টা হাত৷ তবে এদের দু’জনেরই প্রজাতি স্কুইড৷ তাই উভয়ই রং পরিবর্তন করতে পারে৷ এছাড়া হুমকির মুখে পড়লে স্কুইড এক ধরনের রঙিন কালি ছুড়ে মারে, যাতে করে পানিতে রং ছড়িয়ে পড়ে৷ এর ফলেই শিকারিরা তাদের দেখতে পায় না এবং তখন তারা দ্রুত স্থান পরিবর্তন করতে পারে৷
অনেক গভীরে এবং উপরে
বিশ্বে ২৫০ প্রজাতির স্কুইড রয়েছে৷ এদের বড় বড় চোখ এবং ১০টি বাহু, যাদের মধ্যে আটটি ছোট এবং দু’টি লম্বা৷ লম্বা হাত দিয়ে তারা শিকার ধরে আর ছোট হাত দিয়ে শিকার মুখে দেয়৷ কিছু কিছু প্রজাতির স্কুইড সমুদ্রের অনেক গভীরে থাকে আর কয়েকটি থাকে সমুদ্রপৃষ্ঠের ঠিক নীচে৷
কোনো কোনো সময় বিশাল আকৃতির
হাত ছাড়াই জায়ান্ট স্কুইড কয়েক ফিট লম্বা হতে পারে৷ আর হাতসহ এদের কোনো কোনোটির আকার ২০ মিটার পর্যন্ত৷ স্কুইডগুলো সাধারণত পাঁচ বছর পর্যন্ত বাঁচে৷
‘আসল’ স্কুইড
কাটেল ফিস – এটিও এক ধরনের স্কুইড, যাকে আসল স্কুইড বলা হয়৷ ১০টি হাত আছে এই স্কুইডের৷ আর একটি শক্ত খোলস আছে, যা দেহের আকৃতি ঠিক করে৷ এরা মাটির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে, মাটি খুঁড়তে পারে দ্রুত এবং নিজেদের রং-ও পরিবর্তন করতে পারে৷
অন্য গ্রহের প্রাণী
এই স্কুইডটির ১০০ টিরও বেশি কর্ষিকা আছে, যা মুখ খোলার কাজে ব্যবহার হয়৷ নটিলাস নামের এই স্কুইডটি কালি ছুড়তে না পারলেও রং বদলাতে পারে৷ তবে সে করার তাদের বিশেষ দরকার হয় না, কেননা শক্ত খোলস যে কোনো ধরনের হামলা থেকে রক্ষা করে তাদের৷