1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌরশক্তির আরও কার্যকর ব্যবহারের লক্ষ্যে গবেষণা

২০ জুলাই ২০২০

বর্তমান প্রযুক্তি সৌরশক্তিকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে অক্ষম৷গবেষকেরা এবার ভিন্ন উপকরণ ও কৌশল কাজে লাগিয়ে সোলার সেলের কার্যকারিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন৷সাফল্য এলে সৌরশক্তি দিয়ে বিমান চালানো সম্ভব হবে৷

https://p.dw.com/p/3fafm
বর্তমান প্রযুক্তি সৌরশক্তিকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে অক্ষম৷গবেষকেরা এবার ভিন্ন উপকরণ ও কৌশল কাজে লাগিয়ে সোলার সেলের কার্যকারিতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন৷সাফল্য এলে সৌরশক্তি দিয়ে বিমান চালানো সম্ভব হবে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/McPhoto/BilderBox

ভবিষ্যতে বাণিজ্যিক বিমানের উড়াল ও বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর উদ্দেশ্যে আমাদের সূর্যের শক্তি কাজে লাগাতে হলে আরও অনেক গবেষণার প্রয়োজন৷গবেষকরা পুরোদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন৷নতুন এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফ্লোরিয়ান গেয়ারলিশ সূর্য থেকে আরও বেশি পরিমাণ শক্তি আহরণ করতে চান৷‘ইনসোলাইট’ কোম্পানির সহ প্রতিষ্ঠাতা ফ্লোরিয়ান গেয়ারলিশ বলেন, ‘‘সাধারণ সিলিকন সোলার সেল ল্যাবে বড়জোর ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ শক্তি কাজে লাগাতে পারে৷তার বদলে আমরা অন্য উপকরণ ব্যবহার করছি, যেটির ক্ষমতা ৪৭ শতাংশের বেশি৷তবে সেটির দাম অত্যন্ত বেশি৷’’ 

এই দামী সেলের উপর গেয়ারলিশ লেন্স বসিয়ে এমন ব্যবস্থা করেছেন, যাতে সারাদিন সূর্যের আলো নিখুঁতভাবে সরাসরি সেলের উপর পড়ে৷ফলে ২৯ শতাংশ বা প্রায় রেকর্ড মাত্রার দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে৷গেয়ারলিশ বলেন, ‘‘আলো নিখুঁতভাবে সোলার সেলের উপর নিক্ষেপ করাই হলো সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷কারণ আলো সেই লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে একেবারেই কোনো শক্তি উৎপাদিত হয় না৷’’

গবেষণাগারে সেই পার্থক্য স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে৷ গেয়ারলিশ সেখানে গোটা প্রক্রিয়া স্পষ্ট করে তুলেছেন৷ লেন্সের স্তর আলোর রশ্মি একত্র করে নির্দিষ্ট ব্যাসের মধ্যে সুপার সেলের উপর নিক্ষেপ করছে৷ ক্ষুদ্র এই সেলের আকার মাত্র এক বর্গ মিলিমিটার৷ ফ্লোরিয়ান গেয়ারলিশ জানান, ‘‘প্রত্যেক বর্গমিটার জায়গায় প্রায় ১০,০০০ সেল রয়েছে৷প্রত্যেকটি সেলের ভালো টলারেন্স ক্ষমতা থাকা অত্যন্ত জরুরি৷’’

এবার ইঞ্জিনিয়াররা ল্যাবের সীমানা পেরিয়ে বাস্তব জগতে সেই প্রযুক্তি প্রয়োগ করতে চান৷ফ্লোরিয়ান বলেন, ‘‘এখনো আমরা প্রায় হাতে করেই সবকিছু জোড়া দিচ্ছি৷ ল্যাবের বদলে এবার শিল্পক্ষেত্র, অর্থাৎ কারখানায় বড় আকারে উৎপাদন শুরু করা জরুরি৷রোবট বা যন্ত্রের সাহায্যে কীভাবে কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি মডিউল তৈরি করা সম্ভব? এবার আমরা বড় এই পদক্ষেপ নিতে চলেছি৷’’

বর্তমানে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি প্রচলণ বেশি৷সুইজারল্যান্ডের এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমন ব্যাটারির বিপদ হাতেনাতে দেখিয়ে দিচ্ছে৷ লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির ‘আইসোলেশন’ বা বাইরের স্তরে ক্ষতি হলে এবং পয়সার মতো ধাতু দিয়ে তৈরি কোনো বস্তুর সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণ ঘটে৷ইলেকট্রোলাইট স্থিতিশীল করে তুলতে অত্যন্ত ঘনীভূত লবণের দ্রবণ ব্যবহার করা হচ্ছে৷

গবেষকেরা অতি দ্রবণীয় এক লবণ তৈরি করেছেন, যেটির মাত্র কয়েক বিন্দু পানির সংস্পর্শে এলেই গলে যায়৷ একই সঙ্গে সেটি আরও পরিবাহী এবং লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে আরও কম বিপজ্জনক ইলেকট্রোলাইট হিসেবে ব্যবহার করা যায়৷

বাসার সেলার অথবা বড় আকারের ব্যাটারির মধ্যে সৌরশক্তি ধারণ করার ক্ষেত্রে এমন কম বিপজ্জনক ব্যাটারি অত্যন্ত জরুরি৷ রাতের বেলায় অথবা খারাপ আবহাওয়ার সময়েও এভাবে সৌরশক্তি কাজে লাগানো সম্ভব৷

ভবিষ্যতে কুয়াশাভরা দিন অথবা রাতেও সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে হলে অনেক কম বিপজ্জনক ব্যাটারি ব্যবহার করা সম্ভব হবে৷

আরও ভালো সোলার সেলের কল্যাণে প্রচুর পরিমাণ সৌরবিদ্যুৎ মানুষের নাগালে চলে আসতে পারে৷

ক্রিস্টায়ান বাখমান/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান