সৌভাগ্যকে কাছে পেতে ‘রসবোধ’ জাগিয়ে তুলুন
গোমরা মুখের মানুষ প্রায়ই দেখা যায়৷ অথচ মানুষের ভেতরের রসবোধ বা ঠাট্টাকে জাগিয়ে তুললে জীবনকে অনেক আনন্দময় করা সম্ভব৷ আর সেজন্য চাই শুধু প্রবল ইচ্ছাশক্তি৷ এমনটাই জানা যায় গবেষণার ফলাফল থেকে৷
পারিবারিক দ্বন্দ্বকে দূরে রাখতে
সন্তান, মা-বাবা, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-বোন নিয়ে প্রতিটি পরিবারেই থাকে কোনো না কোনো সমস্যা৷ আর সেটাই স্বাভাবিক৷ তাই কোনো সমস্যা বা কথা কাটাকাটি হলে বিষয়টিকে হালকা করার জন্য মজার মজার গান শুনুনস, শরীর দুলিয়ে একটু নাচুন অথবা একে-অপরকে জড়িয়ে ধরুন৷ দেখবেন, পরিবেশ অনেক হালকা হয়ে গেছে৷ এটা ছোটখাটো সমস্যা মেটানোর দ্রুততম কৌশল৷ অ্যামেরিকায় সাম্প্রতিক করা এক গবেষণা থেকে এই কৌশলের কথা জানা গেছে৷
আরো বেশি আলিঙ্গন করুন
স্বামী-স্ত্রী বা পার্টনারের মধ্যে মিল বেশি হলে আনন্দ এবং হাসির মাত্রাও বেশি থাকে৷ তাই কাছাকাছি থাকা এবং কথায় কথায় একে-অপরকে জড়িয়ে ধরলে দু’জনেই নিরাপদ বোধ করেন৷ তবে একসাথে হাসাহাসি করলে ছোটখাটো দুঃখ-কষ্ট যেমন ভোলা যায়, তেমনি একে-অপরের অপছন্দের বিষয়গুলোও সহজে মেনে নেওয়া যায়৷
জগিং করার চেয়ে জোরে হাসা বেশি কার্যকর
জানেন কি, দিনে মাত্র ২০ সেকেন্ড জোরে হাসলে শরীরের পেশিগুলো তিন মিনিট জগিং করার মতো কাজ করে? তাই প্রতিদিন কয়েক বার প্রাণ খুলে জোরে জোরে হাসলে আর জগিং করার প্রয়োজন হয় না! সুতরাং দিনে অন্তত একবার ২০ সেকেন্ড প্রাণ খুলে জোরে জোরে হাসুন!
শিশুর হাসি
একটি শিশু দিনে গড়ে ৪০০ বার হাসে আর একজন প্রাপ্তবয়স্ক হাসেন সেক্ষেত্রে মাত্র ১৫ বার৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হাসিখুশি থাকার মধ্য দিয়ে মানুষ তার আয়ু বাড়াতে পারে শতকরা ২০ ভাগ৷ কারণ হাসি-ঠাট্টার মধ্য দিয়ে শরীরের ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে গিয়ে মানসিক চাপকে কমিয়ে দেয়৷
মানসিক চাপ বা স্ট্রেস
স্ট্রেস বা মানসিক চাপই শতকরা ৭০ ভাগ অসুখের জন্য দায়ী৷ এ কথা আজ আর নতুন করে বলার তেমন প্রয়োজন নেই৷ তাই যতটা সম্ভব মানসিক চাপ এড়িয়ে চলার পরামর্শই দিয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা৷
সমালোচনাকে দূরে রাখবেন যেভাবে
কর্মক্ষেত্রেই মানুষ বেশি সমালোচিত হয়ে থাকে৷ এমন পরিস্থতিকে সহজ করতে একটু মিষ্টিভাবে, হাস্যরস মিশিয়ে সহকর্মীর সঙ্গে বলতে পারেন৷ যেমন, ‘‘আমি বেশি পারফেক্টভাবে কাজ করতে চাই বলেই হয়ত অনেকসময় বাড়াবাড়ি হয়ে যায়৷’’ এতেই দেখবেন অপরপক্ষ সহজ হয়ে গেছেন৷
আনন্দ শেয়ার করুন
যে কোনো আনন্দ বন্ধুদের সাথে ভাগাভাগি করলে তার মাত্রা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়৷ তাই বন্ধুদের সাথে বেড়াতে যান কিংবা কোনো হাসির ছবি দেখুন৷ একসাথে খেলাধুলা বা ব্যায়ামও করতে পারেন৷ কারণ ব্যায়াম করার সময় শরীরে সুখ হরমোন ছড়িয়ে যায়, মনও ভালো হয়ে ওঠে৷
ভুল করাকে সহজভাবে নিন
জীবনে মানুষ প্রতিনিয়তই নানারকম ভুল করে থাকে৷ কাজেই ভুলকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে নিজের কথা ভাবুন৷ রাগ করে কোনো লাভ নেই, বরং ভুলকে সহজভাবে নিন৷ কারণ মানুষ অনেকসময় পরিস্থিতির কারণেও ভুল করে থাকে৷
হিউমার বা ঠাট্টা
জীবন তো এমনিতেই কঠিন৷ এর সাথে খানিকটা হিউমার বা হাস্যরস মিশিয়ে নিলে মনের দ্বিধা বা সন্দেহ দূর হয়ে সবকিছু অনেক সহজ হতে পারে৷ তাছাড়া জোরে জোরে হাসার সময় সুখ হরমোন ‘ডোপামিন’ শরীরে ছড়িয়ে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ডিপ্রশনের ওষুধ হিসেবেও কাজ করে৷ কাজেই সবসময় আনন্দের কথাটি মাথায় রাখুন৷ দেখবেন একসময় গোমরাভাব কোথায় পালিয়ে গেছে!