1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদ আরবের তেল উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা

৭ অক্টোবর ২০২০

করোনা ভাইরাসের সময়ে বিশ্ববাজারে কমেছে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা৷ আর তা ভাবনায় ফেলেছে তেল-অর্থনীতির উপর টিকে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে৷

https://p.dw.com/p/3ja1x
Ausschnitt | USA Detroit - Aramco Ausstellung
ছবি: Getty Images/B. Pugliano

 তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর ভাবনায় এ বিষয়টি নাড়া দিয়েছে যে, তেলের বিশ্ববাজার জীবাশ্ম জ্বালানির দিকে ঝুঁকে পড়ছে৷ আর তাই কমে যেতে পারে খনিজ তেলের চাহিদা৷ 

অপরিশোধিত তেলের বাজার একেবারে ফুরিয়ে যাওয়ার আগে নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত সৌদি আরব৷দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত তেল উৎপাদনকারী সংস্থা আরামকো অপরিশোধিত তেল উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে৷ জানা গেছে, তেলের দৈনিক উৎপাদন ১২ মিলিয়ন ব্যারেল থেকে ১৩ মিলিয়নে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে দেশটি৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে পরিবেশবান্ধব তেলের চাহিদা বাড়ার আগেই নিজেদের তেল রপ্তানি বাড়িয়ে মুনাফা হাতিয়ে নিতে চাইছে তারা৷

এদিকে পশ্চিমা দেশগুলোতে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা কমলে নতুন বাজারে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখার পরিকল্পনাও করছে দেশটি৷ এজন্য ভারত ও চীনের মতো দেশগুলোতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে চাইছে তারা৷

তবে এখনো খনিজ তেলের বিশ্ব বাজার নিয়ে আশাবাদী আরামকো৷ ‘‘জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বিশ্ব বাজারে তেলের চাহিদা বাড়বে৷ খুব দ্রুতই এ বাজারের পতন ঘটার আশঙ্কা নেই,'' বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন আরামকোর এক কর্মকর্তা৷

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহামেদ বিন সালমানের নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য অর্থ প্রয়োজন৷ প্রিন্স সালমান ২০৩০ সালের মধ্যে তেল রপ্তানির উপর দেশটির নির্ভরতা কমিয়ে আনতে চান৷ আর এ জন্য তার প্রয়োজন অর্থ৷ সে অর্থের অন্যতম উৎস তেল রপ্তানি৷

আর তাই অধিক পরিমানে তেল রপ্তানি করে উপার্জিত টাকা অন্য খাতে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন সালমান, বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স৷ 

এদিকে বাজারে পরিবেশবান্ধব তেলের চাহিদা বাড়ার কারণে, আরামকোকেও সে বিষয়ে ভাবতে হচ্ছে৷ আরামকোর তেল তার প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব৷ আরামকোর প্রতি ব্যারেল তেলে কার্বন ডাই অক্সাইডের তীব্রতা দশ দশমিক এক কেজি যা তার প্রতিযোগীদের চেয়ে অনেক কম৷

প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য হলো পরিবেশবান্ধব তেল উৎপাদনে মনোযোগী হওয়া আর উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনা৷ পাশাপাশি তেল উৎপাদন বাড়ানোর দিকেও আমাদের নজর রয়েছে যেন প্রতিযোগীদের সাথে পাল্লা দিয়ে আমরা টিকে থাকতে পারি৷''

তেল গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনার্জি অ্যাসপেক্টস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অমৃতা সেন মনে করেন, যে দেশগুলো পরিবেশবান্ধব উপায়ে তেল উৎপাদন করতে পারবে তারা বাজারে টিকে থাকবে৷ আর এক্ষেত্রে সৌদি প্রতিষ্ঠান আরামকো ভালো অবস্থানে থাকবে৷

আরআর/এসিবি (রয়টার্স)