1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সৌদি তরুণীকে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর পরামর্শ জাতিসংঘের

৯ জানুয়ারি ২০১৯

পারিবারিক সফরে এসে কুয়েত থেকে পালিয়ে আসা সৌদি তরুণী রাহাফ মোহাম্মদ আল কানুনকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ৷ অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, আশ্রয়ের বিষয়টি তারা বিবেচনা করবে৷

https://p.dw.com/p/3BEjs
Rahaf Mohammed Alqunan
ছবি: picture alliance/AP Photo/Human Rights Watch/Rahaf Mohammed Alqunun

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) রাহাফকে অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় দেওয়ার সুপারিশ করে৷ একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকে সেই তরুণীকে স্বাগত জানানোর অনুরোধও করে৷

অস্ট্রেলিয়ার  স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট দেশটির শীর্ষ টিভি চ্যানেল এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাহাফের আশ্রয়ের বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ভীষণ গুরুত্বের সঙ্গে এবং মানবিকভাবে রাহাফের আশ্রয়ের বিষয়টি দেখা উচিত, এবং আমরা সেটি করবো৷ তবে সে শরণার্থীর মর্যাদা পেলে বিষয়টি বিবেচনা করা অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষের জন্য সহজ হবে৷''

অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার ডাটন বলেছেন, ‘‘রাহাফের বিষয়টিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই৷ তবে কেউই দুস্থ তরুণী দেখতে আগ্রহী নয়৷ আমরা আশা করছি, তিনি থাইল্যান্ডে ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেয়েছেন৷''

এই মুহূর্তে থাইল্যান্ডে ইউএনএইচসিআরের আশ্রয়ে রয়েছে রাহাফ৷  গত মঙ্গলবার তাঁর বাবা ও ভাই কুয়েত এসে পৌঁছালে রাহাফ দেখা করতে অস্বীকৃতি জানায়৷ইউএনএইচসিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেহেতু তিনি দেখা করতে চান না এবং এর সঙ্গে তাঁর নিরাপত্তার বিষয় জড়িত, তাই পরিবারের কারো সঙ্গেই দেখা করতে দেওয়া হবে না৷  

গত ৪ জানুয়ারি কুয়েত থেকে ট্রানজিটে ব্যাংককের সূবর্ণভূমি বিমানবন্দরে আটক হন এই সৌদি তরুণী৷ তখন তিনি জানান, তিনি বাড়ি থেকে পালিয়েছেন৷ সেখানে তাঁকে ক্রমাগত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করা হতো৷ তিনি টুইটারবার্তায় জানান, তাঁর ভাই তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছে৷ রাহাফ আরবি ও ইংরেজি দুই ভাষায় লেখা টুইটারবার্তায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃ্ষ্টি আকর্ষণ করেন৷

এফএ/এসিবি (এএফপি/রয়টার্স)