1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সোমালি জলদস্যুর সাফল্যের চাবিকাঠি

১১ মার্চ ২০১১

সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যু হিসেবে নিজেকে অনাচারের সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কেটেছে মাত্র দুই বছর৷ কিন্তু সাঈদ ইয়ারে এরই মধ্যে কোটিপতি বনে গেছেন৷

https://p.dw.com/p/10XDw
সোমালিয়ার জলদস্যুরাছবি: AP

সোমালিয়ার সাগর সন্নিহিত শহর বোসাসো৷ টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজারের অত্যাধুনিক মডেলের গাড়ি থেকে নামলেন ইয়ারে৷ হাতে সিগারেট৷ ২৭ বছরের স্লিম ঐ যুবকের পরনে স্যুট৷ একমুখ ধোঁয়া ছেড়ে ইটালিয়ান ভাষায় বললেন, ‘‘জলদস্যুতা করা খুব একটা সহজ কাজ নয়, জীবন নিয়ে জুয়া খেলতে হয়৷ তবে জলদস্যু টাইকুন হিসেবে আমি আমার জীবন উপভোগ করি৷''

ইয়ারে বলেন, ‘‘জলদস্যুতার এই ব্যবসা অনেকটা প্রেসিডেন্ট পদের মত৷ একবার এর স্বাদ পেয়ে গেলে কেউ আর ছাড়তে চাইবে না৷ আমার একজন বন্ধু নৌবাহিনীর অভিযানে সম্প্রতি প্রাণ হারিয়েছে৷ কিন্তু সে রেখে গেছে ১০ লক্ষ ডলার!'' একটি উদ্ধার অভিযানের বর্ণনা এইভাবেই দিচ্ছিলেন ইয়ারে৷ ঐ অভিযানে চারজন মার্কিন নাগরিক প্রাণ হারান৷

সাঈদ ইয়ারে বলেন, ২০১০ সালে তিনি ২৪ লক্ষ ডলার রোজগার করেছে৷ তিনি জানান, এর মধ্যে ব্রিটিশ পতাকাবাহী এশিয়ান গ্লোরির জন্যে পেয়েছে, ১২ লক্ষ ডলার৷ সৌদি ট্যাঙ্কার আল নাসের আল সৌদির জন্যে ৭ লাখ ডলার এবং বুলগেরীয় জলযান পানেগা'র জন্যে ৫ লাখ ডলার পেয়েছে৷ সে জানায়, ‘‘দুটি অভিযানে বিনিয়োগ করার পরে আমি অনেক বেশি নগদ অর্থ রোজগার করেছি৷ এবং পৃথক একটি হাইজ্যাকিং-এ আমি ব্যক্তিগতভাবে অংশ গ্রহণ করি৷ সেগুলো সবই ছিল সফল৷''

জলদস্যু সাঈদ ইয়ারে আরো বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত দেহরক্ষী, বিলাসবহুল গাড়ি, ট্রাক, একটি বোট এবং তিনটি ভিলা কেনার পরেও, আরেকটি জাহাজ হাইজ্যাক করার আগে পর্যন্ত আমার কাছে যথেষ্ট অর্থ রয়েছে৷''

ইয়ারে তার একজন বন্ধুর কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘একটা জাহাজ হাইজ্যাকিং-এর জন্যে আমাকে ৮০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করতে বলে৷ এবং ১ লাখ ২০ হাজার ডলার মুক্তিপণ পাবার পরে তাকে শতকরা ৫০ ভাগ ফেরত পাবার আশা করে৷''

প্রতিবেদন:ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন