1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেলভা মায়া বনাঞ্চল বাঁচানোর উদ্যোগ

১৮ অক্টোবর ২০১৮

মধ্য অ্যামেরিকার দেশগুলি আয়তনে ছোট হলেও সেখানকার প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য নজর কাড়ার মতো৷ তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সেই পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে৷ জার্মানির সাহায্যে সেই ক্ষতি সামাল দেবার চেষ্টা চলছে৷

https://p.dw.com/p/36jlZ
সেলভা মায়া বনাঞ্চলের একটি অংশছবি: DW

রাত হলেই প্রায় ২০ লক্ষ বাদুড় খাদ্য ও পানির খোঁজে গুহা ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে৷ কিন্তু তাদের জন্য পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরো কঠিন হয়ে পড়ছে৷ সেলভা মায়া অঞ্চলের স্পাইডার মাংকি প্রজাতির বানরদেরও এই পরিস্থিতির কুফল ভোগ করতে হচ্ছে৷

ক্রান্তীয় অঞ্চলে প্রায় ১ কোটি হেক্টর এলাকার এই জঙ্গল বেলিজ, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকো – এই তিনটি দেশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে৷ এর মধ্যে ৭ লক্ষ ২৩ হাজার হেক্টর এলাকা সংরক্ষিত অরণ্য৷ তারই মাঝে কালাকমুল নামে মেক্সিকোয় মায়া সভ্যতার অন্যতম বিশাল নিদর্শন রয়েছে৷ সংরক্ষিত এলাকার প্রধান হোসে সুনিয়েগা বলেন, ‘‘আমরা বেশ কিছু সময় ধরে বৃষ্টিপাতের অভাবের কারণে নাজেহাল হয়ে পড়েছি৷ পুকুরগুলি শুকিয়ে যাওয়ায় প্রাণীদের পানির চাহিদা পূরণ হচ্ছে না৷ ২০১৫ সাল থেকে এই খরার প্রবণতা টের পাচ্ছি৷ আমাদের পরিমাপ অনুযায়ী, ২০১৬ ও ২০১৭ সাল দুটি গত ১৫ বছরের সবচেয়ে শুকনা মরসুম ছিল৷’’

কালাকমুল বায়োস্ফিয়ার অভয়ারণ্যের মধ্যে একটি পুকুরে এখনো পানি রয়েছে৷ বিজ্ঞানী হিসেবে রাফায়েল রেইনা মোট ১০টি এমন জায়গায় এমন ক্যামেরা বসিয়েছেন, যার সামনে কিছু নড়াচড়া করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি তোলা হয়৷

বিভিন্ন ধরনের পাখি, টেপির, জাগুয়ারের মতো প্রাণীরা ঠিক কত সংখ্যায়, কত ঘনঘন পানির খোঁজে সেখানে আসে, তিনি তা জানতে চান৷ সেইসঙ্গে বিগত বছরগুলিতে পানির পরিমাণে কতটা পরিবর্তন এসেছে, সেই তথ্যও তিনি সংগ্রহ করতে চান৷ পর্দায় একটি জাগুয়ার দেখে তিনি আপ্লুত হয়ে পড়লেন৷ এখন এই এলাকায় মাত্র ৪৫০টি জাগুয়ার টিকে রয়েছে৷ রাফায়েল বলেন, ‘‘অনেক লুপ্তপ্রায় প্রাণী পানির জন্য এই জলাশয়ের উপর নির্ভর করে৷ এই জলাশয় কিন্তু স্থায়ী নয়, ভবিষ্যতে তার অস্তিত্ব থাকবে কিনা, তা-ও স্পষ্ট নয়৷ কোনো কোনো বছরে সেটি দেখা যায়, কখনো নয়৷ এই জলাশয় বনের লুপ্তপ্রায় প্রাণীগুলির জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেক বার পরীক্ষার পর আমরা তা বুঝতে পারি৷’’

জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড রেইনা-কে সেই কাজে সাহায্য করছে৷ তারা ৩টি দেশেই বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী গবেষণার অর্থায়ন নিশ্চিত করছে এবং বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে সমন্বয় করছে৷ সংস্থার প্রতিনিধি ফ্লোরিয়ান ভ্যার্নার বলেন, ‘‘তথ্য আরো সহজে, বিনামুল্যে মানুষের নাগালে আনতে হবে৷ দেশের সীমানা তাতে কোনো বাধা হতে পারে না৷ আমাদের প্রকল্পের মধ্যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, অনেক কিছু করা যেতে পারে৷’’

তিনটি দেশেই সেলভা মায়া জঙ্গলের জীববৈচিত্র্য অক্ষত রাখা এই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ জিআইজেড মেক্সিকোয় পার্কের রেঞ্জারদের জন্য ডিজিটাল স্মার্ট প্রযুক্তি প্রয়োগের ব্যবস্থা করেছে৷ এমনকি প্রত্যন্ত এলাকায়ও সেই সফটওয়্যার নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারে৷

মাওয়াসি/এসবি

‘জলবায়ু নায়ক’ ভুটান একাই লড়ে যাচ্ছে