1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পদ্মা সেতুর ঠিকাদার নিয়োগ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৩ মে ২০১৪

বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণের কাজ পেয়েছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড৷ সচিবালয়ে ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়৷ সেতু নির্মাণ করা হবে বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে৷

https://p.dw.com/p/1C4k2
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত (ফাইল ফটো)ছবি: DW

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের জানান, ‘‘কার্যাদেশের পর চার বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে৷ আশা করছি, জুন মাসের মধ্যেই ওই কোম্পানির সঙ্গে কাজের চুক্তি করা হবে৷ আর ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার মূল ব্রিজের কাজ শুরু হবে আগামী অক্টোবর-নভেম্বরের মধ্যে৷'' উল্লেখ্য, ২০১১ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ১৭২ কোটি ১৭ লাখ টাকা৷ অর্থাৎ, এই অঙ্ক তার চেয়ে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি৷

পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র কিনলেও দর প্রস্তাব জমা দেয় একমাত্র চীনা এই কোম্পানিটি৷ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে জটিলতার পর ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নতুন দরপত্র আহ্বান করা হয় ২০১৩ সালের ২৬শে জুন৷ চূড়ান্ত দরপত্র আহ্বানের পর মূল সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৩ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকাষ চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড ১২.৬২ শতাংশ কম দর প্রস্তাব করে৷

Bangladesch unterzeichnet Kredit mit der Islamischen Entwicklungsbank
‘আশা করা যায় জুন মাসের মধ্যেই পদ্মা সেতুর কাজের চুক্তি হবে’ছবি: DW

চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির পাশাপাশি ডেলিম এল অ্যান্ড টি জে ভি এবং স্যামসাং সি অ্যান্ড টি গ্রুপ দরপত্র কিনলেও, গত ২৪শে এপ্রিল আর্থিক প্রস্তাব জমা দেয়ার শেষ দিনে চীনা প্রতিষ্ঠানটিই শুধু তা জমা দেয়৷

মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রায়াত্ত কোম্পানি৷ দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০৪ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ এই কোম্পানির বার্ষিক আয় ২০০ কোটি ডলার, কর্মীর সংখ্যা ৭৫ হাজার৷ প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদের পরিমাণ ৮৫১.৮৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম পরিমাণ৷ কোম্পানিটির ছয়টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠানও আছে৷

২০১০ সালে প্রথম পদ্মা সেতুর দরপত্র আহ্বান করা হয়৷ আর তখন এই সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ বিলিয়ন মার্কির ডলার৷ এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ১.৫ বিলিয়ন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ৬১৫ মিলিয়ন, জাইকা ৪১৫ মিলিয়ন, আইডিবি ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা দেয়ার চুক্তি করেছিল৷ কিন্তু ক্যানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনকে ঠিকাদারি দেয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলে বিশ্বব্যাংক৷ পরে বিশ্বব্যাংক ঋণ চুক্তি স্থগিত করলে বাংলাদেশ দুর্নীতির তদন্ত শুরূ শুরু করে৷ তদন্ত চলাকালে বিশ্বব্যাংক শর্ত সাপেক্ষে পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থায়নের ঘোষণা দেয়৷ কিন্তু এরপরও তদন্ত নিয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে টানাপোড়েন চলতেই থাকে৷ এরপর ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ সরকার নিজেই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ না নেয়ার কথা জানিয়ে দিয়ে নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে নতুন দরপত্র আহ্বান করে৷ সেতুর মূল অবকাঠামো পরিকল্পনায় কোনো পরিবর্তন আনা না হলেও, দুদক-এর তদন্ত অবশ্য এখনো চলছে৷

পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য