সূর্যকে ছুঁতে চায় ওরা
সম্প্রতি ঐতিহাসিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘটনা ঘটিয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা৷ এবার তারা সূর্যের দিকে স্যাটেলাইট ছুঁড়েছে৷ সফলভাবে উৎক্ষেপিত হওয়া স্যাটেলাইটটি যাবে সৌরমণ্ডলে৷ ছবিঘরে দেখুন৷
মানবসভ্যতার প্রথম
মানবসভ্যতা মহাকাশে পৌঁছেছে অনেক আগে৷ চাঁদে পা রেখেছে৷ কিন্তু অতি উষ্ণ সূর্যকেও একদিন ছুঁতে পারবে তা কি কেউ কল্পনা করেছে? নাসার বিজ্ঞানিরা তা কল্পনাই শুধু করেননি, তার বাস্তবতার মুখও দেখিয়েছেন৷
বিগ সানডে
১২ আগস্ট, ২০১৮৷ রোববার৷ দিনটি ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে৷ নাসার পার্কার সোলার প্রোবের প্রথম উপগ্রহটি এদিন উড়েছে আকাশে, ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশনের ৩৭ নম্বর উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে৷ ইস্টার্ন ডে লাইট সময় ভোর ৩ টা ৩১ মিনিটে শুরু হয় উৎক্ষেপণ৷ দু’ঘন্টা পর অপারেটররা জানান যে, সঠিকভাবেই উড়ছে পার্কার সোলার প্রোব৷
উদ্দেশ্য ‘করোনা’
সৌরমণ্ডলের একটি অংশের নাম করোনা৷ সেখানেই পৌঁছাবে পার্কার সোলার প্রোব মিশনের প্রথম স্যাটেলাইটটি৷
ইউজিন পার্কার
এই প্রথম কোনো জীবিত গবেষকের নামে স্যাটেলাইটের নামকরণ করলো নাসা৷ যার নামে নামকরণ করা হয়েছে তিনি হলেন, ১৯৫৮ সালে তাত্ত্বিকভাবে সৌরবায়ুমণ্ডলের আবিষ্কারক বিখ্যাত পদার্থবিদ ইউজিন পার্কার৷ উৎক্ষেপণের সময় গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখছিলেন ইতিহাসকে৷
কী করবে এই স্যাটেলাইট?
এই স্যাটেলাইট মহাকাশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস আরো সঠিকভাবে নির্ণয় করতে সহায়তা করবে৷ এতে মহাকাশে উড্ডয়মান অন্য স্যাটেলাইট বা মহাকাশচারীদের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঠেকানো, রেডিও কমিউনিকেশন কিংবা বিদ্যুৎ প্রবাহ নষ্ট হতে পারে এমন কোনো পরিস্থিতি আগে থেকেই জানা যাবে৷
প্রথমে বুধ, তারপর সূর্য
দু’মাস এই স্যাটেলাইট উড়ে অক্টোবরে পৌঁছাবে বুধের পরিবেশে৷ বুধের গ্র্যাভিটি ব্যবহার করে পরে তা উড়ে যাবে সৌরমণ্ডল করোনায়৷ সেখানে পৌঁছাবে নভেম্বরে৷ সূর্য থেকে দেড় কোটি মাইল দূরে এই করোনা৷ সূর্যের এত কাছে আগে কখনোই যেতে পারেনি কেউ৷
আরো কাছে
সাত বছরের পার্কার সোলার প্রোব মিশনে আরো ছয়বার স্যাটেলাইট উড়বে সূর্যের দিকে৷ মোট ২৪টি ফ্লাইবি উড়বে সূর্যের কাছে৷ ধীরে ধীরে সূর্যের সবচেয়ে কাছে যে ফ্লাইবিটি পৌঁছাবে তা থেকে সূর্যের দূরত্ব হবে মাত্র ৩৮ লাখ মাইল৷