সুপ্রিয়া চৌধুরীর জীবনাবসান
‘‘দাদা আমি বাঁচতে চাই৷’’ মেঘে ঢাকা তারার এই সংলাপ শুনলেই তাঁর মুখ ভেসে ওঠে৷ ঋত্বিক ঘটকের সবচেয়ে পছন্দের নায়িকা, সুপ্রিয়া দেবী৷ শুক্রবার কলকাতায় ৮৫ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় তাঁর৷ ফিরে দেখা অভিনেত্রীর কিছু মুহূর্ত৷
স্ক্রিপ্ট হাতে
বেশ কয়েকবছর টেলিভিশন কিংবা বড় পরদায় তাঁকে দেখা যায়নি৷ রুপোলি দুনিয়া থেকে একপ্রকার মুখ ঘুরিয়েই নিয়েছিলেন৷ ছিল মন খারাপ৷ ভালো কাজ না পাওয়ার৷ সাক্ষাৎকারও দিতেন হাতে গোনা৷ তবে স্ক্রিপ্ট পছন্দ হলে ঝাঁপিয়ে পড়তেন৷
মানপত্র
সারা জীবনে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সুপ্রিয়া দেবী৷ পেয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্মশ্রী৷ পশ্চিমবঙ্গ সরকারও তাঁকে মানপত্র দিয়ে সম্মান জানিয়েছে৷
গ্রিনরুমে
গ্রিনরুমে কারও সঙ্গে কথা বলতে বিশেষ পছন্দ করতেন না সুপ্রিয়া দেবী৷ বলতেন, আয়নার সামনে বসে মেকআপ নিতে নিতে নিজের চরিত্র থেকে স্ক্রিপ্টের চরিত্রে ঢুকে পড়তেন তিনি৷ গ্রিন রুমই ছিল তাঁর মনঃসংযোগের সবচেয়ে ভালো জায়গা৷
বন্ধুবর
উত্তম কুমারের সঙ্গে থেকেছেন তিনি৷ তবে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ছিলেন বন্ধুবর৷ বহু সভায় দীর্ঘ আলোচনায় মগ্ন থেকেছেন দু’জনে৷ সুপ্রিয়া দেবীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সৌমিত্র৷
শোকের ছায়া
সুপ্রিয়া দেবীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে৷ তাঁকে স্মরণ করেছেন মুম্বইয়ের বহু বিশিষ্ট শিল্পী৷ ফিরে গিয়েছেন সুপ্রিয়ার অসাধারণ অভিনয়ের স্মৃতিচারণে৷