সুদানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ
১৮ জুলাই ২০১০একাধিক বার্তা সংস্থা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দারফুরের বিদ্রোহীদের অন্যতম সংগঠন জাস্টিস এন্ড ইকুয়ালিটি মুভমেন্ট বা জেএএম এর সঙ্গে কমপক্ষে দুটি বড় ধরণের সংঘর্ষ হয়েছে সরকারি বাহিনীর৷ উত্তর দারফুরের কুমা এলাকা এবং আদোলা পর্বতমালার দিকে এই সংঘর্ষ হয়৷ এর বাইরে উত্তর দারফুরের দাবা তাগো এলাকাতেও দুই বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের খবর পাওয়া গেছে৷ তবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি সুদানে নিয়োজিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী৷ শনিবার সুদানের সরকারি বার্তা সংস্থা সুনা জানায়, এইসব সংঘর্ষে তিন শতাধিক বিদ্রোহীকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী৷ অপরদিকে সেনাবাহিনীর ৭৫ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছে বলেও দাবি করা হয়৷ দারফুরের সেনা কমান্ডার জেনারেল আল তায়েব আল মুসবাহ ওসমান বার্তা সংস্থা সুনাকে জানিয়েছেন, যুদ্ধকালে তারা জেএএম এর বেশ কিছু যানবাহন ধংস করেছেন এবং বিদ্রোহীদের হাত থেকে কয়েকটি জ্বালানি ট্যাংকার উদ্ধার করেছেন৷ একইসঙ্গে জেএএম এর ৮৬ জন সদস্যকে সেনাবাহিনী আটক করেছে বলেও দাবি করেছেন জেনারেল আল তায়েব আল মুসবাহ৷
তবে সেনাবাহিনীর এসব দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে জেএএম জানিয়েছে যে নিজেদের পরাজয় ঢাকতে এখন এসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে৷ জেএএম এর মুখপাত্র আহমেদ হুসেইন আদাম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তারা তাদের পরাজয় থেকে নজর অন্যদিকে সরিয়ে নিতে চাচ্ছেন৷ তিনি দাবি করেন যে জেএএম যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর অনেক সদস্যকে আটক করেছে৷ জেএএম এর পক্ষ থেকে সুদানের সেনাবাহিনীর দুই কমান্ডারকে হত্যা করারও দাবি জানানো হয়েছে৷ উল্লেখ্য, গত বুধবার জেএএম জানায় যে তারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বড় ধরণের যুদ্ধে লিপ্ত৷ এর আগের দিন মঙ্গলবার সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনে আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত৷ গত বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক আদালত প্রেসিডেন্ট বশিরের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছিল৷
উল্লেখ্য, গত ২০০৩ সাল থেকে সুদানের দারফুরে গৃহযুদ্ধ চলছে৷ সুদানের আরব ও অনারব জনগোষ্ঠীর মধ্যে চলছে এই গৃহযুদ্ধ৷ জাতিসংঘের হিসাব মতে এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে তিন লাখের বেশি মানুষ৷ আশ্রয়চ্যুত হয়েছে ২৭ লাখ মানুষ৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম