সুগার ট্যাক্স আরোপ করায় বেড়েছে সোডা পাচার
পর্তুগিজ সরকার ‘সুগার ট্যাক্স’ অর্থাৎ চিনিজাত পানীয়তে কর আরোপ করায় শুরু হয়েছে নতুন বিপত্তি৷ প্রতিবেশি রাষ্ট্র স্পেন থেকে দেশটিতে সোডা বা ‘সফট্ ড্রিংকস’ পাচার শুরু করেছে একদল সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র৷
সফট্ ড্রিংকস চোরাচালান রোধে উদ্যোগ
পর্তুগিজ সরকার ২০১৭ সালে চিনিজাত সফট্ ড্রিংকসে কর আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় যা ‘সুগার ট্যাক্স’ হিসেবে পরিচিত৷ এরপর থেকে দেশটির সঙ্গে স্পেনের সীমান্ত চেকপোস্টগুলোতে সীমান্তরক্ষীদের নতুন এক দায়িত্ব যোগ হয়েছে৷ তাহচ্ছে সোডা পাচার রোধ করা৷
সংঘবদ্ধ চক্র
পর্তুগালে সুগার ট্যাক্স থাকলেও স্পেনে সেটা নেই৷ তাই, স্পেন থেকে সফট্ ড্রিংকস পাচার করে পর্তুগালে নিতে পারলে ভালোই লাভ হয়৷ এভাবে পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র৷ ছবিতে সীমান্তে একটি লরি পরীক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে৷
পেশাদার চিনিজাত পানীয় পাচারকারী
পর্তুগিজ পুলিশ কর্মকর্তা হেল্ডার ফার্নান্দেজ ২০১৭ সাল থেকেই সোডা পাচার রোধে কাজ করছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘গত দুই বছর ধরে আমরা লক্ষ্য করছি যে সফট্ ড্রিংকস পাচার শুধু বাড়েইনি, এটা পুরোপুরি পেশাদার উপায়ে করা হচ্ছে৷’’
ইইউতে করের ক্ষেত্রে সমন্বয় নেই
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কর আরোপের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সমন্বয় নেই বলে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে৷ পর্তুগালে ‘সুগার ট্যাক্সের’ পরিমাণ আপাতদৃষ্টিতে কম মনে হলেও সফট্ ড্রিংকসের চাহিদার বিবেচনায় সেটা অনেক৷ ফলে ব্যবসায়ীরা সেই কর এড়াতে পাচার করা ড্রিংকস বিক্রি করতে চান৷
শুধু সীমান্তে নয়, চেক করা হয় রেস্তোরাঁও
‘সুগার ট্যাক্স’ এড়াতে চাওয়াদের ধরতে সীমান্তের পাশাপাশি বিভিন্ন রেস্তোরাঁতেও অভিযান চালাচ্ছে পর্তুগিজ সরকার৷ তবে, কোন পণ্যের কর প্রদান করা হয়েছে, কোনটির করা হয়নি তা সনাক্ত অনেক সময় জটিল হয়ে পড়ে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ আপাতত তাই জমজমাটই থাকছে সোডা পাচার৷