সুইস বিজ্ঞানীদের নমনীয় উন্নতমানের সৌর কোষ আবিষ্কার
৩০ মে ২০১১নবায়নযোগ্য জ্বালানি পেতে এটাকে খুব ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে৷ এমপা ঘোষণা করেছে যে, তারা ১৮.৭ শতাংশ মাত্রার সৌরকোষ উৎপাদন করেছে৷ এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত নমনীয় কোষসমূহের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন৷ এর আগে এক্ষেত্রে একই প্রতিষ্ঠানেরই সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১৭.৬ শতাংশ মাত্রার কোষ আবিষ্কারের৷ ফলে এখন পর্যন্ত বাজারে থাকা অধিক ভারি, বড় আকারের এবং ব্যয়বহুল বালি ও কাঁচের কোষগুলোর চেয়ে এটি নমনীয় মাত্রার হবে৷
এমপা'র থিন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোভোল্টাইড গবেষণাগারের প্রধান অযোধ্যা তিউয়ারি বলেছেন, বাজারে যে বড় আকারের সৌর কোষ আছে সেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ৷ আর বালির যে সৌর প্যানেল সেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ১৮ থেকে ২০ শতাংশ৷ নমনীয় সৌর কোষগুলো অর্ধপরিবাহী পদার্থ দিয়ে তৈরি হয় যার নাম কপার ইন্ডিয়াম গ্যালিয়াম ডাইসেলেনাইড৷ একে সংক্ষেপে সিআইজিএস বলা হয়৷ বালির কোষগুলোর চেয়ে এগুলোর গঠন কাঠামোটা অনেক জটিল৷
তিউয়ারির নেতৃত্বে গবেষক দল সিআইজিএস কাঠামোতে বেশ অগ্রগতি সাধন করেছে৷ পদার্থগুলোর সন্নিবেশ করতে যে ক্ষতির মাত্রা থাকে তা কমিয়ে এনেছে এবং কোষের জন্য ধাতব পাতের পরিবর্তে একটি পলিমার ফিল্ম ব্যবহার করছে৷ তিউয়ারি ডয়চে ভেলেকে বলেন, প্রচলিত জ্বালানি শক্তির বাজারে প্রতিযোগিতায় সৌর শক্তিকে যদি টিকতে হয়, তাহলে এর উৎপাদন খরচ কমাতে হবে৷ অথচ এখন পর্যন্ত সেটা হয়নি৷ তাই নতুন এই নমনীয় সৌর কোষের আবিষ্কার সৌর শক্তির উৎপাদন, এর যন্ত্রপাতি বহন এবং যন্ত্রপাতিগুলোর সমন্বয় করার খরচ কমাবে৷ জার্মানির বাডেন-ভুর্টেমব্যার্গ এর সৌর জ্বালানি ও হাইড্রোজেন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান গবেষক ফ্রিডরিশ কেসলারও এমপা'র এই সাফল্যকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মত দিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল-হাই