‘সিল্ক রোড’ দিয়ে যা করতে চায় চীন
চীনের প্রস্তাবিত সিল্ক রোড বিশ্বায়নের নতুন সূচনা করবে বলে বলছেন বিশেজ্ঞরা৷ কী আছে সেই সিল্ক রোডে?
বিশ্বায়নের নতুন যুগ
২০১৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সিল্ক রোড স্থাপনের প্রস্তাব করেন৷ এ সময়ের মধ্যে ১৫৭টি দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এ প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে৷ অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন, এ প্রকল্প বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের রাষ্ট্রসমূহকে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে যুক্ত করবে৷
পৃথিবীর প্রাচীন বাণিজ্যপথ
প্রায় ২০০ বছর আগেও এ পথে বাণিজ্য করতো ব্যবসায়ীরা৷ প্রস্তাবিত এ সিল্ক রোডটি মূলত হাজার বছর আগের ব্যবসায়িক করিডোরকে আবার জাগিয়ে তুলবে৷
সিল্ক থেকেই ‘সিল্ক রোড’?
সিল্ক রোডটি মূলত অনেকগুলো বাণিজ্য পথের সমষ্টি যা চীন, মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকার কিছু দেশ ও ইউরোপকে যুক্ত করবে৷ কোথা থেকে এসেছে সিল্ক রোড নামটি? লাভজনক এশিয়ান সিল্ক থেকেই? বিলাস বহুল ও মূল্যবান এই পণ্যটি ইউরোপীয় ও মধ্য এশিয়ার বণিকদের ব্যাপকভাবে আকর্ষণ করেছিল৷ তাঁরা স্বর্ণ, আইভরি, পশম, কাঁচের জিনিসপত্র, ঘোড়া ইত্যাদির বিনিময়ে চীন থেকে সিল্ক ক্রয় করে নিয়ে যেত বলে জানা যায়৷
সবচেয়ে বড় নির্মাণ প্রকল্প
সিল্ক রোড নির্মাণের এ প্রকল্পকে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় প্রকল্প বলে আখ্যা দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট৷ এ প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে অন্তত চার ট্রিলিয়ন ডলার৷ আর এখন পর্যন্ত প্রস্তাবিত এ রোডটির দৈর্ঘ্য সাত হাজার মাইল বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
কী উদ্দেশ্য চীনের?
চীন বলছে, প্রস্তাবিত এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ততপরাতা বড়ানো৷ পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়ের একটি বড় মাধ্যমও হতে পারে এটি, বলছে তারা৷
উদ্বেগ উন্নত দেশগুলোর?
যদিও চীন বলছে, ব্যবসার সম্প্রসারণই সিল্ক রোডের উদ্দেশ্য, উন্নত দেশগুলো যেমন জাপান, যুক্তরাষ্ট্র সন্দেহ করছে এর পিছনে চীনের ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ থাকতে পারে৷ যে কারণে গ্রুপ-৭ দেশগুলোর কেউই খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না সিল্ক রোডে প্রকল্পে৷
যোগ দিল ইটালি
উন্নত দেশগুলোর মধ্যে বিশেষ করে গ্রুপ-৭ দেশগুলোর মধ্যে ইটালি সিল্ক রোডে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে৷ এই লক্ষ্যে তারা সিল্ক রোড বিষয়ক বিষয়ক আগামী সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছে৷
সতর্ক ইউরোপের অন্য দেশগুলো
ইটালির সিল্ক রোডে যোগদানকে সহজভাবে দেখছে না ইউরোপ৷ এ বিষয়ে ইইউর বাজেট কমিশনার গ্যুন্টার ও্যন্টিংগার বলেন, ইউরোপের সার্বভৌমত্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না৷ এদিকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বল্পমেয়াদি লাভের আশায় কোনো তিক্ত অভিজ্ঞতা বয়ে না আনাই ভালো৷