1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

৯ এপ্রিল ২০১৮

সিরিয়ার কেন্দ্রস্থলে এক সামরিক ঘাঁটির উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কিছু মানুষ হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন৷ ওয়াশিংটন অবশ্য এমন হামলার কথা অস্বীকার করেছে৷

https://p.dw.com/p/2vhHH
Syrien Duma Beschuß
ছবি: picture-alliance/Xinhua/A. Safarjalani

গত শনিবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত দুমা শহরে নিরীহ মানুষের উপর আবার হামলার ঘটনায় গোটা বিশ্বে চরম প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ সেখানে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ সিরিয়ার সরকার ও তাদের সমর্থক দেশ রাশিয়া রাসায়নিক হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷

রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া ভাষায় পালটা পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, নারী ও শিশুসহ সাধারণ মানুষের উপর এমন জঘন্য হামলার জন্য বড় মূল্য চোকাতে হবে৷

উল্লেখ্য, প্রায় এক বছর আগে সিরিয়ায় বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সাধারণ মানুষের উপর সারিন গ্যাস হামলার পর মার্কিন প্রশাসন একটি সরকারি ঘাঁটির উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল৷ ট্রাম্প অবিলম্বে সিরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা করে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷

এমনই প্রেক্ষাপটে হোমস শহরের কাছে টি-৪ বা টিয়াস বিমান ঘাঁটিতে বিস্ফোরণ ঘটায় মার্কিন হামলার আশঙ্কা জোরালো হয়ে উঠেছে৷ সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর এক সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, হামলা রুখতে ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে৷ তবে তা সত্ত্বেও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে৷ সেখানে রাশিয়ার অনেক সৈন্য মোতায়েন রয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷ সেখান থেকেই বিদ্রোহীদের এলাকার উপর বিমান হামলা চালানো হয়৷ কাছাকাছি প্রধান গ্যাসক্ষেত্রগুলিও অবস্থিত৷

মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, সে সময়ে সিরিয়ার উপর কোনো বিমান হামলা চালানো হয়নি৷ সে ক্ষেত্রে এই হামলার জন্য ইসরায়েল দায়ী, এমন সন্দেহ জোরদার হচ্ছে৷ ইসরায়েলের এক সরকারি মুখপাত্র বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি৷ উল্লেখ্য, এর আগেও ইসরায়েল সিরিয়ার উপর বেশ কয়েকবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে৷ মূলত হেজবোল্লাহসহ ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর ঘাঁটিগুলি ছিল সেই সব হামলার লক্ষ্যবস্তু৷ গত ১০ই ফেব্রুয়ারি টি-৪ ঘাঁটির বিস্ফোরক বোঝাই গুদামের উপর সিরিয়া বিমান হামলা চালিয়েছিল৷ ইরানের রেভোলিউশানারি গার্ড বাহিনী সেই ঘাঁটি ব্যবহার করছে বলে ইসরায়েল অভিযোগ করেছিল৷

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করা হলে সামরিক হামলার হুমকি দিয়েছিলেন৷ ট্রাম্পের সঙ্গে এক টেলিফোন সংলাপে তিনি বলেন, বিদ্রোহী এলাকায় সাম্প্রতিক হামলায় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করা হয়েছিল৷ দুই নেতাই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত আলোচনার অঙ্গীকার করেছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য