সিরিয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য মুসলিম ধর্মীয় স্থান
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ সিরিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য ধর্মীয় স্থান ৷ ছবিঘরে জানুন এমনই কিছু স্থানের কথা৷
উমায়েদ মসজিদ, দামেস্ক
বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ও বড় মসজিদগুলির একটি দামেস্কের উমায়েদ মসজিদ৷ ‘বানু উমায়া’র মসজিদ নামে পরিচিত এই মসজিদটির স্থাপনা শুরু হয় ৬৫৪ খ্রিষ্টাব্দে৷ মসজিদ নির্মাণের কাজ শেষ হয় ৭১৫ সালে৷ শিয়া ও সুন্নি দুই গোষ্ঠীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ এই মসজিদে প্রায় ৬০ দিন বন্দি ছিলেন হজরত মোহাম্মদের (সাঃ) পরিবারের বেশ কিছু সদস্য৷
বানু উমায়া মসজিদ, আলেপ্পো
আলেপ্পোর বানু উমায়া মসজিদ, যা গ্রেট মস্ক অফ আলেপ্পো নামেও পরিচিত, সিরিয়ার বৃহত্তম মসজিদ৷ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য স্থানের তালিকার অন্যতম৷ অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে এই মসজিদ তৈরির কাজ শুরু হলেও কাজ শেষ হয় আনুমানিক একাদশ বা দ্বাদশ শতাব্দীতে৷ ১০৯০ সালে তৈরি এই মসজিদের একটি মিনার ২
সায়েদা জায়নাব মসজিদ, দামেস্ক
ইসলামের অন্তর্ভুক্ত শিয়াগোষ্ঠী সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম গোষ্ঠী৷ শিয়া ইতিহাস অনুযায়ী, মহানবীর নাতনি জায়নাবের সমাধি রয়েছে এই মসজিদে,যার হাত ধরেই মসজিদের নামকরণ৷ যদিও সুন্নি মুসলিমরা মনে করেন জায়নাবের সমাধি রয়েছে মিশরে৷ ইমামিয়া শিয়া মুসলিমদের উপাসনাস্থান এই মসজিদটি নির্মিত হয় ১৯৯০ সালে৷
সায়েদা রুকায়া মসজিদ, দামেস্ক
হজরত মোহাম্মদের (সাঃ) আরেক উত্তরসূরি রুকায়ার সমাধি দামাস্কাসের এই মসজিদে রয়েছে বলে মনে করেন শিয়া মুসলমানরা৷ কারবালার যুদ্ধের পর আশুরার দিনে মারা যান চার বছর বয়েসি রুকায়া৷ প্রথমে তাঁর সমাধি অন্য কোথাও থাকলেও, পরে ১৯৮৫ সালে মসজিদ গঠনের সময় তা এখানে নিয়ে আসা হয়৷
বাব আল-সাঘির সমাধি, দামেস্ক
দামেস্কের পুরোনো অংশের প্রবেশদ্বার বাব আল-সাঘির৷ এই দ্বারের চারপাশে শায়িত রয়েছেন আলি ও ফাতেমার পরিবারের একাধিক সদস্যেরা৷ বলা হয়, এঁদের ছাড়াও বাব আল-সাঘিরে রয়েছে কারবালার যুদ্ধের ১৬জন শহীদের সমাধি৷
আল নুকতাহ মসজিদ, আলেপ্পো (প্রতীকী ছবি)
ভক্তরা বিশ্বাস করেন, আলেপ্পোর এই মসজিদের একটি পাথরে লেগে রয়েছে মহানবীর নাতি হুসেনের রক্ত৷ মসজিদের মূল নাম ‘মসজিদ আল নুকতাহ’র অর্থ ‘রক্তফোঁটার মসজিদ’৷ আনুমানিক ৯৪৪ সালে এই মসজিদটির নির্মাণ৷ (প্রতীকী ছবি)
উয়েস আল-কারনি মসজিদ, রাক্কা
রাক্কা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই মসজিদটি তৈরি হয় ২০০৩ সালে৷ কিন্তু ইসলামিক স্টেটের আক্রমণে ২০১৪ সালে ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় এই শিয়া মসজিদটি৷ উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই মসজিদ ছিল সুন্নি বিদ্রোহীগোষ্ঠী আল মুনতাসেরীন বিল্লাহ‘র গোপন ঘাঁটি৷
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য মসজিদ
মসজিদের শহর দামেস্কে রয়েছে নবী হাবীল মসজিদ, টেক্কিয়ে মসজিদ, সিনান পাশা মসজিদ, আকসাব মসজিদের মতো বহু মসজিদ৷ এছাড়াও, হোমস ও হামা শহরে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সমাধিক্ষেত্র৷ কিন্তু বেশির ভাগ অঞ্চলই ইসলামিক স্টেটের সাথে চলমান যুদ্ধে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷