1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিজ পরাজয় ঠেকাতে ভারতের দরকার ২০৪ রান

৭ আগস্ট ২০১০

শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ না হেরে কি দেশে ফিরতে পারবে ভারত? গতকাল চতুর্থ দিনে যেভাবে একের পর নাটকীয়তা দেখা গেছে তাতে এখন এই প্রশ্ন উঠেছে৷ জেতার জন্য ভারতের প্রয়োজন আরও ২০৪ রান, হাতে সাত উইকেট৷

https://p.dw.com/p/OeMm
Sachin Tendulkar
আজ দলকে কি জেতাতে পারবেন টেন্ডুলকার?ছবি: AP

শেষ দিনে ২০৪ রান হয়তো খুব বেশি নয়৷ তার ওপর ক্রিজে রয়েছে টেন্ডুলকার, নামতে বাকি লক্ষণ, রায়না ও ধোনির৷ কিন্তু সিরিজ জিততে জোর লড়াই চালিয়ে যাবে লংকানরা৷ বিশেষ করে চতুর্থ দিনে প্রথম সেশনেই ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলা লংকানরা যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাতে এই কথা বলাই যায়৷ চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামার সময় শ্রীলংকার স্কোর ছিল দুই উইকেটে ৪৫ রান৷ তখন তারা ভারতের চেয়ে ৩৪ রানের লিড নিয়েছে৷ কিন্তু প্রথম সেশনের পানি পানের বিরতির সময় তাদের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৭৮, এরপর মধ্যাহ্ন বিরতির সময় তা দাঁড়ায় আট উইকেটে ১৪৩, লিড মাত্র ১৩২ রানের৷ তখন অনেকেই ভেবেছিলেন, ম্যাচ পঞ্চম দিনে গড়াবে কিনা৷ কিন্তু মধ্যাহ্ন বিরতির পর দেখা গেল অন্য শ্রীলংকাকে৷ মেন্ডিসকে নিয়ে সামারাবিরা গড়ে তুললেন ১১৮ রানের জুটি৷ বিশেষ করে মেন্ডিসের ব্যাটিং দেখে কেউ বলতে পারছিল না যে তিনি টেইল এন্ডার ব্যাটসম্যান৷ সামারাবিরা ৮৩ এবং মেন্ডিস ৭৮ রান করেন৷ ২৬৭ রানে শ্রীলংকার ইনিংস যখন শেষ হয় তখন চা বিরতির পরে অনেক সময় পার হয়ে গেছে৷ ভারতের ওঝা, শেবাগ এবং মিশ্র তিনটি করে উইকেট নেন৷

এদিকে ২৫৭ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাটিং এ নেমে মাত্র ১০ রানেই শেবাগকে হারায় ভারত৷ এরপর ২৭ রানে দ্রাবিড় এবং ৪৯ রানে বিজয় বিদায় নেন৷ ফলে তিন উইকেটে ৫৩ রানে ভারত চতুর্থ দিন শেষ করে৷ ম্যাচ যেভাবে এগুচ্ছে তাতে ভারতের জন্য এখন ২০৪ রানও অনেক কঠিন বলে মনে হচ্ছে৷

এদিকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ব্যাটিং ব্যর্থতা অব্যাহত রয়েছে৷ দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে তাঁরা অলআউট হয়েছে মাত্র ৭২ রানে৷ দুই ইংলিশ বোলার জেমস অ্যান্ডারসন এবং স্টুয়ার্ট ব্রডের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি পাকিস্তানী ব্যাটসম্যানরা৷ মাত্র ৩৯ ওভারেই গুটিয়ে যায় তাঁদের ইনিংস৷ অ্যান্ডারসন এবং ব্রড চারটি করে উইকেট নেন৷ ব্যাটিংয়ে নেমে দুই উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের সংগ্রহ ১১২ রান৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক