সিঙ্গাপুর ট্রপিক্যাল গার্ডেন্স
সিঙ্গাপুরের ট্রপিক্যাল গার্ডেন্সই এশিয়ায় প্রথম ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ-এর মর্যাদা পেয়েছে৷
প্রবেশদ্বার
এই গেটের পেছনেই ১৮৩ একর (৭৪ হেক্টার) জমি জুড়ে সিঙ্গাপুরের ট্রপিক্যাল গার্ডেন্স৷ ট্রপিক্যাল বটানি আর হর্টিকালচার সংক্রান্ত গবেষণার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে এই উদ্যান৷
সাবেক চিড়িয়াখানা
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলে অস্ট্রেলিয়ান যুদ্ধবন্দিরা অংশত এই গার্ডেন্স তৈরি করেছিল৷ চিড়িয়াখানা থাকাকালীন সিঙ্গাপুর বটানিক্যাল গার্ডেন্স অনেক মহার্ঘ উপহার পেয়েছে৷ সায়াম অর্থাৎ থাইল্যান্ডের রাজার উপহার দেন একটি চিতাবাঘ৷
দর্শকদের ভিড়
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় বটানিক্যাল গার্ডেনগুলোর মধ্যে পড়ে এই ট্রপিক্যাল গার্ডেন্স: বছরে ৪৫ লাখ দর্শক৷
বিরল স্থাপত্য
১৮৬৭ সালে উদ্যানের সবচেয়ে উঁচু জায়গাটিতে গার্ডেন পরিচালকের বাসভবন নির্মাণ করা হয়৷ এ অঞ্চলে অ্যাংলো-মালয় প্ল্যান্টেশন স্থাপত্যশৈলীর শেষ নিদর্শন হিসেবে পরিচিত এই ‘বার্কহিল হল’৷
সুবিখ্যাত বৃক্ষ
এই টেম্বুসু গাছটির ছবি সিঙ্গাপুরের পাঁচ ডলার নোটের উপরেও আছে৷ গাছটির বয়স ১৭০ বছর, বাগানটিরও যা বয়স৷ এই চিরহরিৎ গাছটি ২৫ মিটার অবধি বাড়তে পারে৷ ফুলের মৌসুমে সন্ধ্যার দিকে সাদা ফুল ফোটে আর সেই ফুলের সুঘ্রাণ ছড়ায় সারা বাগানে৷
অর্কিড গার্ডেন
বাগানের একটি বিশেষ আকর্ষণ হলো ন্যাশনাল অর্কিড গার্ডেন, যেখানে প্রায় সাড়ে চারশ রকমের অর্কিড দেখতে পাওয়া যায়৷ হাইব্রিড বা মিশ্রজাতির অর্কিড তৈরিতে সিঙ্গাপুর বট্যানিক গার্ডেন্সের নাম আছে, যার ফলে দ্বীপরাজ্যটি বাণিজ্যিকভাবে অর্কিড চাষে বিশ্বজোড়া নাম করে ফেলেছে৷
শ্রীলঙ্কা থেকে আনা অর্কিড
‘ভান্ডা টেসেলাটা’ আসলে শ্রীলঙ্কা ও ভারতের দক্ষিণতম প্রান্তের গাছ৷ এর সুগন্ধ বাগানের অন্যান্য ফুলের গন্ধের চেয়ে অনেক বেশি জোরালো৷ প্রথাগত ভেষজশাস্ত্রে ওষধি হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এই উদ্ভিদ৷ এখন ব্যবসায়িকভাবে সুগন্ধি তৈরির কথা চলেছে৷
তাই চি
সিঙ্গাপুরে ‘তাই চি’ খুব জনপ্রিয়৷ সিঙ্গাপুর বট্যানিক গার্ডেন্স-এ প্রতিদিন সকালে নিখর্চায় তাই চি ক্লাসের বন্দোবস্ত করা হয়৷