1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাহিত্যে নোবেল পেলেন মো ইয়ান

১১ অক্টোবর ২০১২

লোককথা, ইতিহাস ও বর্তমান কালের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়ে এক ‘আবছায়ার বাস্তব জগত’ তৈরি করেছেন মো ইয়ান৷ সুইডিশ অ্যাকাডেমির এই স্তুতিবাক্য বেশ মানানসই৷

https://p.dw.com/p/16Nx2
ছবি: picture-alliance/dpa

মাত্র তিন বছরের মধ্যে চীনের দু'জন নোবেল পুরস্কার পেলেন৷ শান্তি পুরস্কার পেয়েও একজন এখনো কারাবন্দি, সাহিত্যিক হিসেবে আরেক জন সরকার ও পার্টির পৃষ্ঠপোষকতা উপভোগ করেন৷ এর মধ্যে রাজনীতির প্যাঁচ দেখতে পারেন অনেকেই৷ তা সত্ত্বেও মো ইয়ানের সাহিত্যকর্ম খাটো করে দেখা যায় না৷

লিউ শিয়াবোর মতো তিনিও বর্তমান যুগে চীনা সমাজের কালো জগত নিয়ে ভাবেন৷ তবে তাঁর ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটে কলমের খোঁচায়৷ খ্যাতনামা সাহিত্যিক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেসের ‘ম্যাজিক রিয়ালিজম'-এর সঙ্গে মো ইয়ানের ‘হ্যালুসিনেটোরিক রিয়ালিজম'-এর তুলনা করা হয়৷ এছাড়া, প্রথম চীনা নাগরিক হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পাওয়ার একটা আলাদা গুরুত্ব আছে বৈকি! এ বছর যার অর্থমূল্য ১২ লক্ষ ডলার৷

Mo Yan Literaturnobelpreis 2012 ARCHIVBILD
সাহিত্যে নোবেল পেলেন মো ইয়ানছবি: picture alliance/dpa

৫৭ বছর বয়স্ক মো ইয়ানের আসল নাম গুয়ান মোয়ে৷ চীনা ভাষার প্রাচীন রূপে ‘মো ইয়ান' শব্দ দুটির অর্থ হলো ‘কথা বলো না'৷ গত শতাব্দীর ত্রিশ ও চল্লিশের দশকে চীনের পূর্বাঞ্চলে নৃশংস হিংসালীলার কাহিনি ফুটে উঠেছে ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত তাঁর বড়গল্প ‘রেড সরগাম'-এ৷ চলচ্চিত্রের পর্দায় সেই কাহিনি ফুটিয়ে তুলেছেন চীনা পরিচালক জাং ইমু৷ ১৯১১ সালের বিপ্লবের মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদী শাসনের পতন, জাপানি উপনিবেশবাদ, কমিউনিস্ট শাসনের শুরুতে ভ্রান্ত ভূমি সংস্কার নীতি, মাও সে তুংয়ের সাংস্কৃতিক বিপ্লব – বিংশ শতাব্দীর চীনা ইতিহাসের অনেক অধ্যায় উঠে এসেছে তাঁর সাহিত্যকর্মে৷ তীব্র শ্লেষ, তির্যক রম্যরসের খোঁচায় তিনি প্রায় তিন দশক ধরে কমিউনিস্ট পার্টির বেঁধে দেওয়া স্বাধীনতার সীমা অতিক্রম করেছেন৷ এমনকি ২০০৯ সালে প্রকাশিত ‘ফ্রগ' নামের উপন্যাসে মো ইয়ান রাষ্ট্রের ‘এক শিশু নীতি'-রও সমালোচনা করেছেন৷ নির্মমভাবে পরিবার পরিকল্পনার এই নীতি কীভাবে কার্যকর করা হয়, তার অনেক দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় এই উপন্যাসে৷

সাহিত্যকর্মে এমন সাহসী মনোভাব দেখালেও নিজের জীবনে কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সরাসরি সংঘাতের পথে যান না মো ইয়ান৷ যদিও সেন্সর কর্তৃপক্ষ তাঁকে একাধিক বার ডেকে পাঠিয়ে কৈফিয়ত চেয়েছে৷ এমনকি তিনি শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় নীতির প্রতি সমর্থনও জানিয়েছেন৷ অর্থাৎ সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে চলতে হবে৷ যার পরোক্ষ অর্থ, পার্টির কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না৷ ২০০৯ সালে মো ইয়ান ফ্রাংকফুর্ট বইমেলায় বলেছিলেন, লেখকদের অবশ্যই সমালোচনা করা উচিত, সমাজের কালো দিক তুলে ধরা উচিত৷ কেউ পথে নেমে চিৎকার করতে চায়, তবে যারা ঘরে বসে, লুকিয়ে সাহিত্যের মাধ্যমে নিজেদের মত প্রকাশ করে, তাদের প্রতি সহনশীল থাকা উচিত৷

এসবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য