সারসের কথকতা
গরম শেষে শীত আসা শুরু করলে সারস পাখিরা অপেক্ষাকৃত উষ্ণ অঞ্চলের খোঁজে বেরিয়ে পড়ে৷ সাধারণত দলবেঁধেই তারা চলাচল করে৷
ঠিক যেন রানওয়ে
ছবিটি জার্মানির ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্য থেকে তোলা৷ আবহাওয়া একটু ঠান্ডা হয়ে আসায় সারস পাখিরা এখান থেকে দলে দলে দক্ষিণ ফ্রান্সের দিকে উড়াল দিচ্ছে৷ দেখে মনে হচ্ছে যেন রানওয়ে থেকে তারা কেবল ওড়া শুরু করছে৷ ঠান্ডা আরও বাড়লে ফ্রান্স থেকে তারা চলে যাবে উত্তর আফ্রিকার দিকে৷
পাখিপ্রেমিদের সমাগম
পাখিদের উড়াল দেখতে পছন্দ করেন এমন পর্যটকের সংখ্যা কম নয়৷ জার্মানি ছাড়াও ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস থেকেও পর্যটকরা আসেন পাখি দেখতে৷
চেনার উপায়
ছবিটি খেয়াল করে দেখুন৷ যার মাথা একটু লালচে দেখতে পাচ্ছেন সেটি একটু বেশি বয়সের সারস৷ আর তরুণ সারসদের মাথার রং হয় দারুচিনির মতো৷
দিনে কয়েকশ কিলোমিটার
সারসরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে উড়তে পছন্দ করে৷ ওড়ার সময় ইংরেজি ‘ভি’ এর মতো গ্রুপ তৈরি করে তারা৷ একেকটি গ্রুপে ১০ থেকে ২০০’র মতো সারস থাকে৷ তারা দিনে কয়েকশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে৷ প্রায় চার হাজার মিটার উঁচু দিয়ে উড়ে সারসরা৷
জ্বালানি সংগ্রহ
জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে সারসদের শস্যকণা খেতে দেখা যাচ্ছে৷ ফসল ঘরে তোলার পর মাঠে যা পড়ে থাকে তাও খেয়ে থাকে তারা৷ আসলে সারসরা দীর্ঘপথ পাড়ি দেয়ার জন্য শরীরে শক্তি সঞ্চয় করছে৷ স্ক্যান্ডিনেভিয়া কিংবা রাশিয়া থেকে এসেছে এই পাখিগুলো৷
অনেক দূর থেকে কণ্ঠ শোনা যায়
কোনো কোনো সারসের কণ্ঠ প্রায় তিন কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায়৷ এক গ্রুপ পাখি যখন একসঙ্গে কথা বলে তখন মনে হয় যেন একদল মানুষ উত্তেজিত হয়ে কথা বলছে৷ সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এরকম শব্দ শোনা যায়৷