1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংবাদিকদের আচরণ

৫ নভেম্বর ২০১৫

সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগার ও প্রকাশক হত্যা বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের কিছু আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা৷ তাঁরা সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/1H0ga
Symbolbild Pressefreiheit / Tag der Pressefreiheit
ছবি: picture-alliance/dpa

সম্প্রতি নিহত হওয়া প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনকে কোনো কোনো গণমাধ্যমে ব্লগার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়৷ এ ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক৷ সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি নিজের ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘‘প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা, মাহমুদুর রহমান আমার দেশ পত্রিকার মাধ্যমে ২০১৩ সালে ব্লগারদের সম্পর্কে ভুল ও অত্যন্ত খণ্ডিত একটা ধারণা দিয়েছিলেন৷ দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশের অনেক মানুষ এখনও সেটাই বিশ্বাস করেন৷ ফলে এরকম একটা গোপন সামাজিক ধারণা প্রতিষ্ঠিত আছে যে, তাহলে তো ওদের মারা ঠিকই আছে৷ দীপন, টুটুল, রণদীপম, তারেক - প্রত্যেকেরই প্রাথমিক নিজস্ব/অন্য পরিচয় আছে৷ কিন্তু আপনাদের কারও কারও সাংবাদিকতায় তাদের ব্লগার পরিচয়কে বড় করে তোলা হচ্ছে৷ এতে তাদের মৃত্যুর সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা তৈরিতে সম্ভবত আপনিও অবদান রাখছেন৷ হত্যাকারীরা অনলাইনের লেখালেখি ছাড়িয়ে মুদ্রিত পুস্তক প্রকাশনায় নজর দিয়েছে, আপনারাও দয়া করে আপনাদের দৃষ্টিকে প্রসারিত করুন৷ এক জায়গায় আটকে থাকবেন না৷''

তাঁর এই স্ট্যাটাসের নীচে তৌফিক আজিজ লিখেছেন, ‘‘নাজি জার্মানিতে ‘ভারমিন', রুয়ান্ডায় ‘ককরোচ', ইসরায়েলে ‘আরব সন্ত্রাসী' – এসব বিশেষণ দিয়ে মানুষকে প্রথমে ডি-হিউম্যানাইজেশনের মাধ্যমে তাকে হত্যার একটি নৈতিক ক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছিল, হচ্ছে৷ বাংলাদেশে ‘ব্লগার' শব্দটির মাধ্যমে একইভাবে চিন্তাশীল মানুষদেরকে বৃহত্তর জনসমাজ থেকে পৃথক করা হচ্ছে৷ ব্যাপারটা যেন এমন, ব্লগার= নাস্তিক= ইসলাম বিরোধী সুতরাং তাকে কুপিয়ে হত্যা নিন্দনীয়, কিন্তু নিহতেরও এতে সমান অপরাধ আছে৷ গণমাধ্যমে বিষয়টি আরো সংবেদনশীলতার সাথে ব্যাখ্যা করা উচিত৷''

এদিকে, দীপন হত্যার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিকদের আচরণে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন বলে জানা গেছে৷ এ প্রসঙ্গে আরিফ জেবতিক তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রকাশক রবীন আহসানের একটি বক্তব্য শেয়ার করেছেন৷ রবীন জানান, দীপনের মা তাঁকে বলেছেন, ‘‘...সাংবাদিকদের জ্বালায় আমি (দীপনের মা) অতিষ্ঠ৷ আমাদের দুজনকে রক্ষা করো বাবা!!!'' জেবতিকের স্ট্যাটাসের নীচে প্রতিক্রিয়ায় অনেকে সাংবাদিকদের এমন আচরণের সমালোচনা করেছেন৷ সেলিম আকবর লিখেছেন, সাংবাদিকদের পেশাগত নীতিমালা ও ভালো আচরণ শেখা উচিত৷ সুমাইয়া লামিয়া পরীক্ষারত দীপনের ছেলের ছবি তোলার বিষয়ের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘সাংবাদিকগুলা আসলেই রামছাগল৷ নয়ত ছোট্ট বাচ্চাটা কতটুকু যুদ্ধ করে পরীক্ষা দিতে গেছে....আর তারা কিনা তাদের পেপার এর কাটতি বাড়ানোর জন্য এক্সাম হলে গিয়ে ছেলেটার ছবি তুলছে... ওর মানসিক অবস্থাটা তখন কী ভয়াবহ ছিল...৷''

সংকলন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

প্রিয় পাঠক, এ বিষয়ে আপনার কোনো মন্তব্য থাকলে জানিয়ে দিন নীচে মন্তব্যের ঘরে...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য