সাঁতরে মহাদেশ পাড়ি দিয়ে পঙ্গুত্বকে জয় করতে চান ক্রোয়াজঁ
২৪ মে ২০১১ফিলিপ ক্রোয়াজঁর বয়স ৪৩ বছর৷ সতেরো বছর আগে এক দুর্ঘটনায় তিনি তাঁর হাত ও পা দুইই হারিয়েছেন৷ তবে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছেন শতশত কিলোমিটার সাঁতরে পাঁচটি মহাদেশের জলসীমা ছুঁয়ে যাওয়ার ৷
দুই সন্তানের জনক ক্রোয়াজঁ বলেন, আমার সাঁতার কেটে চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার পর আমার মতো যারা আছেন তাঁদের মধ্যে আশার আলো জাগবে৷ আর সাঁতারের এই অভিযানে তাঁর সঙ্গী হতে পারেন দীর্ঘপথ সাঁতরে অতিক্রম করা চ্যাম্পিয়ন ৩৪ বছরের আরনো চাসেরি৷
সাঁতরে পাঁচ মহাদেশের জলসীমা অতিক্রম করার জন্য প্রথম রাউন্ডে তাঁরা পাপুয়া নিউগিনি এবং ইন্দোনেশিয়া সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরের ২০ কিলোমিটার জায়গাজুড়ে সাঁতার কাটবেন৷ যদিও এসময় এই দুই সাঁতারু মুখোমুখি হতে পারেন তীব্র স্রোত, হাঙর এবং বিষাক্ত জেলি ফিশের৷
সবকিছু যদি ঠিক থাকে তাহলে ক্রোয়াজঁ এবং তাঁর সহযাত্রী জুন মাসে আকাবা উপসাগর দিয়ে জর্ডান থেকে মিশরের উপকূলীয় এলাকার ২৫ কিলোমিটার জলপথ পাড়ি দেবেন৷ তার পরের মাসে এই দুই সাঁতারু আফ্রিকা থেকে জিব্রালটার প্রণালী হয়ে ইউরোপে উপস্থিত হবেন৷
সবচেয়ে চমক অপেক্ষা করছে আগস্টের শেষে৷ রাশিয়া হয়ে এশিয়া মহাদেশের জলপথে প্রবেশ করবেন তাঁরা৷ সেসময় প্রায় শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সাগর পাড়ি দিতে হবে তাঁদের৷
১৯৯৪ সালে একটি বাড়ির ছাদ থেকে টেলিভিশনের অ্যান্টেনা খোলার চেষ্টা করতে গেলে ২০ হাজার ভোল্ট বিদ্যুতের চার্জে আহত হন ক্রোয়াজঁ৷ তারপর চিকিৎসকরা অপারেশন করে তাঁর হাত ও পা কেটে ফেলে৷ হাসপাতালে তিনি যখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তখন একজন চ্যানেল সাতারুকে নিয়ে টেলিভিশনে একটি প্রামাণ্যচিত্র হচ্ছিল৷ তখনই মনের মধ্যে স্বপ্ন দানা বাঁধে৷ সাঁতার কাটার জন্য বিশেষ ফ্লিপারস ব্যবহার করে তিনিও একদিন পাড়ি দেবেন চ্যানেল৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক