সর্বকালের সেরা বক্সার যারা
মাইক টাইসন, জো লুইস এবং অবশ্যই মোহাম্মদ আলী৷ বিশ্বে বেশ কয়েকজন কিংবদন্তি বক্সার রয়েছেন৷ তবে সবক্ষেত্রে সেরা যোদ্ধা আছেন অল্প কয়েকজন৷ সর্বকালের সেরা বক্সারদের কথা জানুন ছবিঘরে৷
মোহাম্মদ আলী
তিনবারের হেভিওয়েট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তিনি৷ সর্বকালের সেরাদের সেরা বক্সার বলা হয় তাঁকে৷ ১৯৭৪ সালে জর্জ ফোরম্যানের সাথে তাঁর লড়াই এবং ১৯৭৫ সালে জো ফ্রেজিয়ারের সাথে তার ডুয়েল বক্সিং ইতিহাসে ক্লাসিক বক্সিং হিসেবে পরিচিত৷
জো ফ্রেজিয়ার
মোহাম্মদ আলীর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বলা হয় তাকে। ১৯৭০ থেকে ৭৫ এর মধ্যে এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল৷ ১৯৬৯ সাল থেকে ১৯৭৩ সালের আগ পর্যন্ত বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ছিলেন ফ্রেজিয়ার৷ ১৯৭৩ সালে ফোরম্যানের কাছে পরাজিত হন এই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন৷ ১৯৭৭ সালে তিনি অবসর নেন৷
জর্জ ফোরম্যান
১৯৭৩ সালে জো ফ্রেজিয়ারকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন জর্জ ফোরম্যান৷ কিন্তু এক বছর পরেই ‘রাম্বেল ইন দ্য জাঙ্গল’ এ মোহাম্মদ আলীর কাছে পরাজিত হন তিনি৷ ১০ বছর বিরতির পর ১৯৮৭ সালে প্রতিযোগিতায় ফেরেন৷ ১৯৯৪ সালে ৪৫ বছর বয়সে সবচেয়ে বেশি বয়সি হিসেবে হেভিওয়েট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন৷ ১১ সন্তানের এই বাবা ১৯৯৭ সালে অবসর নেন৷
মাইক টাইসন
ক্যারিয়ারের শুরুতে ‘আয়রন মাইক’ খ্যাত মাইক টাইসন একের পর এক লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন৷ ১৯৮৬ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে সবচেয়ে কম বয়সি হেভিওয়েট বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হন৷ কিন্তু এই সাফল্য তাকে অন্ধকার জগতে নিয়ে যায়৷ মাদক গ্রহণ, ধর্ষণের কারণে কারাদণ্ড এবং অনেক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে তার নাম৷ ১৯৯৬ সালে আবারও স্বরূপে ফেরেন টাইসন, জেতেন শিরোপা৷
মাক্স স্মেলিং
জার্মান এই অ্যাথলেট ১৯৩০ থেকে ৩২ সাল পর্যন্ত হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন ছিলেন৷ ২০০৫ সালে ৯৯ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তাঁর৷ জার্মানির সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাথলেট তিনি৷ জো লুইসের সাথে তাঁর বক্সিং স্মরণীয় হয়ে আছে৷
জো লুইস
জো লুইসের মত দীর্ঘদিন ধরে কেউ হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নের খেতাব ধরে রাখতে পারেনি৷ ১৯৩৭ থেকে ৫০ সাল পর্যন্ত ‘ব্রাউন বোম্বার’ খ্যাত এই বক্সার ২৬টি প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘায়েল করেছেন৷ আফ্রো অ্যামেরিকানদের সম অধিকারের লড়াইয়ে অন্যতম অনুপ্রেরণা তিনি৷ ১৯৮১ সালে মৃত্যু হয় তার। তবে ক্যারিয়ার শেষে অর্থনৈতিক দুর্দশা এবং মাদক সমস্যায় কেটেছে তাঁর জীবন৷
এভানডার হলিফিল্ড
এভানডার হলিফিল্ড একমাত্র বক্সার যিনি তাঁর ক্যারিয়ারে চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন৷ ১৯৯৭ সালে মাইক টাইসনের সঙ্গে বক্সিঙের সময় মাইক তাঁর কান কামড়ে ছিড়ে ফেলেন৷ ‘দ্য রিয়েল ডিল’ নামে পরিচিত ছিলেন তিনি৷ ২০১১ সাল পর্যন্ত খেলেছেন তিনি৷ ৪৮ বছর বয়সে অবসর নেন৷
সুগার রে লিওনার্ড
সর্বকালের সবচেয়ে অভিজাত বক্সার বলা হয় তাঁকে৷ রে চার্লস লিওনার্ড তাঁর নাম পরিবর্তন করেছিলেন বক্সার সুগার রে রবিনসনকে শ্রদ্ধা জানাতে৷ ১৯৭৯ থেকে ১৯৮৮ পর্যন্ত পাঁচটি ‘ওয়েট’ ক্যাটাগরিতে শিরোপা জেতেন৷ ৪০টি খেলায় অংশ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ৩৬টিতে জিতেছেন তিনি৷
রকি মার্কিয়ানো
অনেকেই তাঁর রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন৷ রকি মার্কিয়ানো ক্যারিয়ারের ৪৯টি লড়াইয়ের প্রত্যেকটিতে জিতেছেন৷ এর মধ্যে ৪৩টিতে নকআউট বিজয়৷ ১৯৫২ থেকে ৫৬ পর্যন্ত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের শিরোপা ছিল তাঁর কাছে৷ ৪৬তম জন্মদিনের আগে এক বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি৷
ভ্লাদিমির এবং ভিটালি ক্লিচস্কো
ইউক্রেনের এই দুই ভাই খেলতেন জার্মানির হয়ে৷ তাদের বলা হয় বক্সিং এর সফল দুই ভাই৷ ১৯৯৯ সালে ভিটালি ডাব্লিউবিও বক্সিং এ চ্যাম্পিয়ন হন৷ ২০০৪ সালে ডাব্লিউবিসিতে শিরোপা জেতেন৷ ভাই ভ্লাদিমির চারটি শিরোপা জিতেছেন৷ এগুলো হল: আইবিএফ, আইবিও, ডাব্লিউবিএ এবং ডাব্লিউবিও৷
রেইনা হালমিচ
শৈশবে জুডো শিখেছিলেন, এরপর কারাটে এবং কিক বক্সিং৷ পরবর্তীতে বিশ্বের সেরা বক্সারের তালিকায় স্থান করে নেন তিনি৷ ১৯৯৫ সালে ওয়ার্ল্ড ফ্লাইট ওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জেতেন, ২০০৭ সাল পর্যন্ত এই শিরোপা অন্য কেউ ছিনিয়ে নিতে পারেনি তার কাছ থেকে৷