সরকারের পছন্দমত ফলের দিকেই এগোচ্ছে মিয়ানমার
৮ নভেম্বর ২০১০সরকারের স্বস্তি
নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল এখনো প্রকাশ করা হয় নি৷ তবে সংসদের ২৫ শতাংশ আসন সামরিক সরকারের মনোনীত ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত৷ অর্থাৎ সরকারের পছন্দের দলগুলি মাত্র ২৬ শতাংশ ভোট পেলেও সংসদে সামরিক সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত৷ এবারের নির্বাচনকে প্রহসন হিসেবে গণ্য করার এটাও একটা বড় কারণ৷ বাস্তবেও তেমনটাই দেখা যাচ্ছে৷ সামরিক সরকারের সমর্থক দুই প্রধান দল – ইউনিয়ন সলিড্যারিটি ও ডেভেলাপমেন্ট পার্টি সাফল্য পাবে, এমনটা ধরেই নেওয়া যায়৷ অং সান সু চি’র নেতৃত্বে প্রধান বিরোধী দল এবারের নির্বাচন বয়কট করেছে৷ তবে গণতন্ত্রপন্থী যে দলগুলি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, তারাও কারচুপির অভিযোগ করছে৷ এনডিএফ ও ডেমক্র্যাটিক পার্টি প্রথমে উৎসাহ দেখালেও এখন অনিয়মের অভিযোগ করছে৷
সীমান্তে অশান্তি
থাইল্যান্ড সীমান্তে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষের জের ধরে প্রায় দশ হাজার মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছে৷ কারেন স্টেট’এর মিয়াওয়াদি শহরে হিংসাত্মক ঘটনার খবর পাওয়া গেছে৷ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আপিসিত ভেজ্জাজিভা বলেছেন, সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারের যেসব শরণার্থীরা থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছে, তাদের জন্য মানবিক সাহায্য দিতে প্রস্তুত৷ আসলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের যে অস্ত্রবিরতির বোঝাপড়া চালু ছিল, নির্বাচনের পর তা নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে৷ তাছাড়া এই সব গোষ্ঠীর নিজস্ব বাহিনীকে সরকার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাঠামোর মধ্যে আনার চেষ্টা করায় উত্তেজনা বেড়ে চলেছে৷
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ভারতীয় সংসদে তাঁর ভাষণে মিয়ানমারের নির্বাচন ও সেদেশের সামরিক সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন৷ মনে রাখতে হবে, ভারত কৌশলগত কারণে মিয়ানমারের সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার পথে চলছে৷ মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় মদতদাতা দেশ চীন অবশ্য এই নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়েছে৷ এক সরকারি সংবাদপত্রে এই নির্বাচনকে সঠিক দিশায় অগ্রগতি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক