জনমনে সুদিনের আশা জাগাতে হবে
৩১ জানুয়ারি ২০১৫২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় এসেছে নতুন সরকার৷ আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহকে দেশের প্রধান নির্বাহী এবং আশরাফ গনিকে প্রেসিডেন্ট করে ‘জাতীয় সরকার' কাজ শুরুর পর থেকেই সামনে আসছে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ৷ সবচেয়ে বড় হয়ে উঠেছিল মন্ত্রী পরিষদ গঠন করার ব্যাপারটি৷ অবশেষে ২৫ সদস্যের মন্ত্রী পরিষদ গঠন করা হয়েছে৷ প্রেসিডেন্ট গনির আশা, কোনো কোনো মন্ত্রিকে নিয়ে বিতর্ক থাকলেও সংসদনের অনুমোদন সাপেক্ষে মন্ত্রিসভা শিঘ্রই কাজ শুরু করবে৷
আফগানিস্তানের জন্য সেটা খুব দরকার৷ বিশ্লেষকদের মতে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং তালেবানের হুমকি মোকাবেলা করতেও অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠাটা খুব জরুরি৷ গাব্রিয়েল ডমিনগেজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি নিকোলাস হেসমও এ কথা বলেছেন৷
ডিডাব্লিউ: আফগানিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার কী মূল্যায়ন?
নিকোলাস হেসম: আফগানিস্তান এখন একটি ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে৷ প্রেসিডেন্ট গনি এবং প্রধান নির্বাহি আব্দুল্লাহ বেশ কিছু সমস্যা, সেসব সমাধানের উপায় এবং সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছেন৷ দেশে নিরাপত্তা বিধানের বিষয়েও পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছে সরকার৷ আফগানিস্তানের সৈন্যরা এখন সাহসের সঙ্গেই জঙ্গিদের আক্রমণ মোকাবেলা করছে৷ সাম্প্রতিক কিছু সন্ত্রাসী ঘটনার কারণে কিছু তালেবান অবশ্য এখনো মনে করে যে যু্দ্ধে তারাই জয়ী হবে৷ তাদের ধারণাটা ভুল৷
আফগানিস্তানে সহিংসতা বেড়েছে৷ এর ফলে কি গত এক দশকে শিক্ষা, নারী অধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে যেটুকু অর্জন সম্ভব হয়েছিল সবই নষ্ট হয়ে যাবে?
আমান তা মনে হয় না৷ এ সব অর্জন ধরে রাখার ব্যাপারে বর্তমান প্রশাসন কিন্তু বদ্ধপরিকর৷ তাছাড়া গত তিন বছরে আমি আফগানিস্তানে বিভিন্ন পেশায় অনেক সাহসি মানুষের দেখা পেয়েছি, যাঁরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন৷ সংসদ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যোগ্য এবং সাহসি লোক বাড়ছে৷ জাতিসংঘ এসব অর্জনকে ধরে রাখতে সরকার, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত নারী এবং সিভিল সোসাইটির সঙ্গে কাজ করে যাবে৷
আপনার দৃষ্টিতে কী কী বিষয় আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে সাফল্য এনে দিতে পারে?
সরকারকে জনগণকে আস্থায় নিতে হবে, যাতে সবার মনে হয় যে আফগানিস্তানের সব মানুষের স্বার্থেই কাজ করছে সরকার৷ জনমনে সুদিনের আশাও জাগিয়ে তুলতে হবে সরকারকে৷
নিকোলাস হেসম, আফগানিস্তানে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি৷