সমুদ্রের শান্ত দৈত্য
দেখতে কুকুর ছানা বা পান্ডার মত আকর্ষণীয় না হলেও সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ‘মানাটি’ অনেকেরই পছন্দের৷ চলুন দেখি বিশালাকার এই প্রাণীটির জীবনপ্রণালী৷
প্রশংসা দিবস
ফ্লোরিডা উপকূল, ক্যারিবিয়ান সাগর, মেক্সিকো উপসাগর, আমাজন অববাহিকা এবং পশ্চিম আফ্রিকার উপকূলে বসবাস করে মানাটি। বিশ্বজুড়ে প্রাণীটির ভক্তরা মার্চ মাসের শেষ বুধবার ‘মানাটি প্রশংসা দিবস’ উদযাপন করেন।
কলম্বাসের সেই মৎস্যকন্যা
ক্রিস্টোফার কলম্বাস ও তার সহযাত্রীরা পনের ও ষোল শতকে সমুদ্র অভিযানে গিয়ে কেবল নতুন পৃথিবী সম্পর্কেই তথ্য নিয়ে ফেরননি, মৎস্যকন্যা দেখার গল্পও বলেছিলেন তারা৷ আজ আমরা জানতে পারছি কলম্বাস ও তার সহযাত্রীরা আসলে মানাটিকে দেখেছিলেন৷
তৃণভোজী
তৃণভোজী প্রাণী মানাটি সমুদ্রের ঘাস বা ম্যানগ্রোভ পাতা খায়৷ এগুলোর ওজন ১২০০ পাউন্ড পর্যন্ত হয়ে থাকে৷ এরা নিজের শরীরের ওজনের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত খাবার খায়; এজন্য তাদের সাত ঘণ্টা সময় লাগে!
অগভীর জলে বাস
অগভীর উপকূলীয় অঞ্চল এবং নদীতে বাস করে মানাটি। এরা পশ্চিম ভারতীয় এবং পশ্চিম আফ্রিকার নোনা জল এবং মিঠা পানির মধ্যেই জীবন কাটায়।
বিপদের কারণ নৌকা
মানাটির জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ ডেকে আনে নৌকা৷ কারণ এই প্রাণীগুলো ঘণ্টায় তিন থেকে পাঁচ মাইলের বেশি গতিতে ছুটতে পারে না এবং আঘাত থেকে বাঁচতে দ্রুত সরে যাওয়ারও ক্ষমতা নেই তাদের৷ ফলে নৌকার আঘাতে এরা মারাত্মক আহত এমনকি মারাও যেতে পারে৷ পশ্চিম ভারতের অর্ধেক মানাটি মারা যায় মানুষের হাতে৷
বেঁচে ফেরা
এই মানাটি ২০১৫ সালে ফ্লোরিডা উপকূলে আহত হলেও ভাগ্যক্রমে সেটিকে উদ্ধার করে সারিয়ে তোলা হয়৷ এক বছর পর সম্পূর্ণ সেরে গেলে একে ফের নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়৷
পারিবারিক বন্ধন
মানাটির নিকটতম আত্মীয় হলো ডুগং৷ ডুগং দেখতে মানাটির মত হলেও কখনই তারা মিঠা পানিতে আসে না৷ এরা ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে৷
বন্ধুত্ব করুন
কখনো মানাটি দেখলে সেটিকে জড়িয়ে ধরার বা তার উপর ওঠার চেষ্টা করবেন না কারণ এতে তাদের ক্ষতি হতে পারে৷ আপনি মানাটির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে দ্রুত তার একটি ছবি তুলতে পারেন৷