1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমুদ্রসীমার রায় নিয়ে বিতর্ক

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১২ জুলাই ২০১৪

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সমুদ্রসীমার রায় নিয়ে বাংলাদেশে চলছে রাজনৈতিক বিতর্ক৷ সরকার এই রায়কে উভয় দেশের জয় বললেও বিএনপি বলছে ভিন্ন কথা৷ তাদের দাবি, সরকারের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে ৬ হাজার কিলোমিটার এলাকা হারিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1CbGm
ছবি: Reuters

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২৫,৬০২ বর্গ কিলোমিটারের বিরোধপূর্ণ এলাকা নিয়ে আন্তর্জাতিক সালিসী আদালত রায় দেয় গত মঙ্গলবার৷ আদালতের রায়ে ১৯,৪৬৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশ পেয়েছে৷ আর ভারত পেয়েছে ৬,১৩৫ বর্গ কিলোমিটারের অধিকার৷ রায় প্রকাশের দিনই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘‘রায় পর্যালোচনায় উভয়ের জন্য বিজয় নিশ্চিত হয়েছে৷ এ বিজয় বন্ধুত্বের বিজয়, বাংলাদেশ ও ভারতের সাধারণ মানুষের বিজয়৷''

কিন্তু বিএনপি একে মানতে পারছেনা৷ বিএনপি-র ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বিএনপি-র পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘‘বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার এলাকার পুরোটাই বাংলাদেশের ছিল৷ রায়ের মাধ্যমে এখান থেকে ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার ভারতকে দিয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশের ক্ষতি হয়েছে৷''

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে মামলা করা সময়োপযোগী হয়নি৷ এটি আরও পরে করার দরকার ছিল৷

তাঁর কথা, দক্ষিণ তালপট্টি বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ৷ এটি হাতছাড়া হতে দেওয়া উচিত হয়নি৷ তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি মনে করে, বাংলাদেশের দুর্বল পররাষ্ট্রনীতি এবং বাংলাদেশের ওপর ভারতের নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব রয়ে গেছে৷ এ জন্য এ ধরনের একটি রায় পেয়েছে বাংলাদেশ৷'' বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মামলাটি ভালোভাবে পরিচালনা করা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর৷

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে কখনো উভয় পক্ষের বিজয় হয় না৷ অথচ সরকার প্রথমে বলেছে বাংলাদেশের বিজয় হয়েছে আর এখন শুনতে পাচ্ছি ভারতেরও বিজয় হয়েছে৷ তাই তিনি সরকারের কাছে রায়ের ব্যাখ্যা প্রকাশের দাবি করেছেন৷

আর বিএনপি-র স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘‘যে দলটি গত ২৫ বছর কখন বলেনি যে তালপট্টি দ্বীপ ছিল না, এখন কেন বলছে তালপট্টি দ্বীপ নেই৷ আসলে শেখ হাসিনাকে দিয়ে সব কিছু সম্ভব, কিছু দিন পর হয়ত তিনি বলবেন বাংলাদেশ নামে কোনো রাষ্ট্রই ছিল না৷''

আর এর জবাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘‘সমুদ্র জয়ের পর তারা তালপট্টি নিয়ে তাল-বেতাল হয়ে গেছেন৷ তালপট্টির তাল যদি বেতাল হয়ে যায় তবে পট্টি আর কতটুকু ভালো থাকবে৷ সমুদ্রসীমার নিষ্পত্তি হওয়ায় এখন তালও নেই বেতালও নেই৷ ফলে তাদের ভারত বিদ্বেষী রাজনীতিতেও একটি উইকেট পড়ে গেছে৷''

সুরঞ্জিত বলেন, ‘‘এখন বিশ্বায়নের যুগ৷ সবাই সব জানে ও দেখে৷ এখন অন্ধকার ও মিথ্যাচারের রাজনীতির কোনো স্থান নেই৷ এই মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালাতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিচার হোক৷ আমাদের দাবি যদি ন্যায্য হয় তবে পাবো, না হলে পাবো না৷ এখানে দৃঢ়তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷''

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে বলা হয়েছে এখন আর তালপট্টি দ্বীপের অবস্থান নেই৷ যদিও ঐ এলাকাটি ভারত পেয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য