1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সমাবেশে ব্যাপক সংক্রমণে জার্মানির দুশ্চিন্তা

২৫ মে ২০২০

সোমবার থেকে ইউরোপের অনেক দেশে লকডাউন আরও শিথিল করা হচ্ছে৷ কিন্তু প্রকাশ্যে বেশি মানুষের সমাগম যে এখনো বিপদের কারণ হতে পারে, একাধিক ঘটনা তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3ciY5
করোনা ভাইরাসের লকডাউ
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Marchi

করোনা সংকট সত্ত্বেও জার্মানি শুরু থেকে পুরোপুরি লকডাউনের পথে যায় নি৷ দোকানপাট ইত্যাদি বন্ধ রাখার পাশাপাশি কিছু বিধিনিয়ম চালু করে প্রকাশ্যে মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে সে দেশ৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একের পর এক নিয়ম শিথিল হবার ফলে জার্মানিতে বিচ্ছিন্নভাবে হলেও জমায়েতের কারণে সংক্রমণ বাড়ার ঘটনা বাড়ছে৷ ফলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ যেমন লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে একটি রেস্তোরাঁর মালিক ও প্রায় ১৩ জন অতিথি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷ ফলে সব মিলিয়ে ১১৪ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে৷ ১৫ই মে রেস্তোরাঁ আবার খোলার আনন্দে মালিক একটি উৎসবের আয়োজন করেন৷ সম্ভবত সেই সন্ধ্যায় সেখানে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে৷  ৯ই মে থেকে জার্মানির সব রাজ্যেই কড়া নিয়মের বেড়াজলে রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে৷

এদিকে ফ্রাংকফুর্ট শহরে একটি গির্জায় গত ১০ই মে এক প্রার্থনাসভার পর এখনো পর্যন্ত ১০৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷ ফলে কর্তৃপক্ষ বাকি ব্যক্তিদের খোঁজ করছে, যাঁরা গির্জা খোলার পর সেখানে গিয়েছিলেন৷ হেসে রাজ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে গত ১লা মে থেকেই গির্জা খুলে গেছে৷ রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাই ক্লোসে বলেন, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে সবাইকে এখনো সতর্ক থাকতে হবে, অসাবধান হলে চলবে না৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, যে করোনা ভাইরাস এখনো মোটেই উধাও হয়ে যায় নি৷

এমন বিচ্ছিন্ন ঘটনা সত্ত্বেও ইউরোপজুড়ে একের পর এক নিয়ম শিথিল করা হচ্ছে৷ বিশেষ করে শর্তসাপেক্ষে কিছু মানুষের জন্য সীমান্ত আবার খুলছে অনেক দেশ৷ যেমন অন্যান্য নর্ডিক দেশ ও জার্মানিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে, এমন মানুষকে নির্দিষ্ট কিছু কারণে প্রবেশের অধিকার দিচ্ছে ডেনমার্ক৷ গ্রিসও চলতি মাসের শেষ থেকে কিছু দেশের মানুষকে প্রবেশের অনুমতি দেবে৷ ইটালি ৩রা জুন থেকে বিদেশিদের প্রবেশের অনুমতি দিতে চলেছে৷ স্পেন অবশ্য এখনো সতর্কতামূলক ব্যবস্থা বজায় রাখছে৷ তবে মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা শহরে সোমবার থেকে কিছু নিয়ম শিথিল করা হচ্ছে৷

প্রকাশ্যে আরও মানুশের সমাবেশে ছাড়পত্র দিচ্ছে ইউরোপের কিছু দেশ৷ যেমন চলতি মাসের শেষে অস্ট্রিয়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে৷ কমপক্ষে এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখলে একশো দর্শক এমন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন৷ আইসল্যান্ড সোমবার থেকেই একশো মানুষের সমাবেশের অনুমতি দিচ্ছে৷ জার্মানিতেও চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত অনেক হোটেলের দরজা আবার খুলে যাবে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)