1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সব সময় সততার সঙ্গে ব্যবসা করা সম্ভব না'

১৫ মে ২০২০

সব সময় সব ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সৎ থেকে ব্যবসা করা সম্ভব না হলেও পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ এবং ব্যবসার সুযোগ অনেক বেশি আছে বলে মনে করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী৷

https://p.dw.com/p/3cIXz
Die Talkshow von Khaled Muhiuddin mit Ali Reza Iftekhar und Ahsan Khan Chowdhury
ছবি: DW

ডয়চে ভেলের ইউটিউব টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’-এ তিনি বলেন, ‘‘পৃথিবীর কোনো দেশই পারফেক্ট নয়৷ আমি যদি বলি আমি ডান-বাম করছি না, তাহলে রমজানের দিনে আরো বেশি গুনাহ কামানো হবে৷ আমি মনে করি বাংলাদেশ যত এগিয়ে যাচ্ছে ডান-বামের প্রয়োজনীয়তা তত কম হচ্ছে৷ 

‘‘আমি বাঙালি, বাংলাদেশে ব্যবসার যেকোন প্রতিকূলতা আমি মোকাবিলা করতে সক্ষম ৷ কারণ আমি এই দেশেরই মানুষ এবং আমি এই দেশেই বড় হয়েছি৷’’

অনুষ্ঠানের আরেক আলোচক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড (ইবিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এবিবি-র চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার দেশে করোনা ভাইরাস সংকটের সময় ব্যাংকের কার্যক্রম ও ভূমিকার নানা দিক তুলে ধরেন৷

তিনি বলেন, ‘‘অর্থনীতি সচল রাখতে হলে আপনাকে ব্যাংক খোলা রাখতেই হবে৷ ব্যাংক এখন জরুরি সেবার মধ্যেই পড়ে৷  সাধারণ ছুটির মধ্যে আমরা আমাদের ৫০ শতাংশ ব্রাঞ্চ খোলা রেখেছি৷ যেহেতু সীমিত আকারে খোলা, তাই এখন আমাদের সক্ষমতার ৪০ শতাংশ কাজ হচ্ছে৷

‘‘আগামী ৩০ মের পর যদি ছুটি আর না বাড়ে এবং ধরে নেই, ১ জুন থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়ে যাবে, তবে আমাদের কার্যক্রম আরো বাড়াতে হবে৷  তখন হয়ত সক্ষমতার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কাজ হবে৷’’

সরকার ঘোষিত প্রণোদনা নিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলো কাজ শুরু করেছে বলেও জানান তিনি৷

বাংলাদেশে ব্যবসা এবং ব্যাংক ওতপ্রোভাবে জড়িত বলে স্বীকার করেন দুই বক্তা৷ আহসান খান বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিংখাত ব্যবসাবান্ধব৷ অন্যদিকে আলী রেজা ইফতেখার বলেন, ‘‘ব্যাংকগুলো স্ট্যাবল ব্যবসায়ীদের ঋণ দিতে চায়৷''

ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার কম চান আহসান খান৷ তিনিও মনে করেন, সুদের হার চাহিদা ও জোগানের ভিত্তিতে হওয়া উচিত৷ আমানতে সুদের হার কমে গেলে ব্যাংকগুলো ঋণের ক্ষেত্রে সুদার হার কমিয়ে আনতে পারবে৷

এ বিষয়ে আহসান খান বলেন, ব্যাংক ঋণে সুদের হার কমাতে গেলে আমানতে সুদের হার কমে যাবে৷ তবে আমানতের সুদের হার খুব বেশি কমে গেলে এর উপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী অসুবিধায় পড়ে যাবে৷ আবার সুদের হার মুদ্রাস্ফ্রীতির চেয়ে কম হলেও এক বছর পর টাকার মূল্য কমে যাবে৷

‘‘ তাই ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্র সুদের হার বেঁধে না দিয়ে বরং বাজারে অর্থের চাহিদা ও জোগানের উপর তা ছেড়ে দেওয়া উচিত৷ ''

এসএনএল/এসিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য