সব ঋতুতেই সুস্থ থাকুন
গ্রীষ্মকালের রোদ ঝলমলে আনন্দের দিনগুলোকে বিদায় জানিয়ে মেঘলা আকাশ আর প্রচণ্ড শীতের কথা ভাবলেই তো খারাপ লাগে, শরীর খারাপ হয়৷ কিন্তু এর থেকে বাঁচার উপায়ও রয়েছে৷ চলুন জানা যাক সে বিষয়ে৷
হেমন্তকাল
যে কোনো দেশেই ঋতু পরিবর্তনের সময় মানুষের শারীরিক ও মানসিক কম বেশি সমস্যা দেখা দেয়৷ বিশেষকরে জার্মানির মতো শীতপ্রধান দেশে হেমন্তকালে৷ গ্রীষ্মকালের রোদ ঝলমলে আনন্দের দিনগুলোকে বিদায় জানিয়ে মেঘলা আকাশ আর প্রচণ্ড শীতের কথা ভাবলেই তো খারাপ লাগে৷ গ্রীষ্মকালে সূর্যের আলো থাকে রাত ১০টার পরেও৷ আর শীতের সময় বেলা চারটে হলেই যেন সূর্য পালাতে চায়৷ কাজেই এর প্রভাব তো মানুষের শরীর, মনের উপর পড়বেই৷
সর্দি, কাশি বা ঠান্ডার ভাইরাস
গলা খুস খুস, গলা ব্যথা, কাশি, নাকে সুরসুর – এসবের সাথে কে পরিচিত নয়? ঠান্ডার ভাইরাসকে চোখে দেখা যায়না, তবে খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে৷ যখন একটু গলা খুস খুস বা নাকে সুরসুর করতে শুরু করে, তখনই কিন্তু দেরি হয়ে গেছে! তাহলে উপায়?
ঋতু উপভোগ
ঋতু পরিবর্তনের সময় হঠাৎ করে যখন বাইরের তাপমাত্রা কমে যায়, তখন শরীরের উপর তার প্রভাব পড়ে, যা খুবই স্বাভাবিক৷ তখনই শুরু হয় নানা ভাইরাসের উপদ্রব৷ ঘরে ঘরে সর্দি-কাশিতে মানুষ ভোগে৷ ঠিক এই সময়টাতে কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করে কিছু নিয়ম মেনে চললে অনেক সহজে হেমন্তকালকে উপভোগ করা যায়৷ কারণ সব বয়সের মানুষের মতো প্রত্যেক ঋতুরই যে রয়েছে চাহিদা আর আলাদা সৌন্দর্য !
২০০ রকমের সর্দি-কাশি রয়েছে
টিকা, অ্যান্টিবায়োটিক, এমনকি ক্যানসারের মতো রোগের জন্য নানা সাফল্য বের হলেও সর্দি, কাশি বা ঠান্ডা লাগার মতো ছোটখাটো রোগের জন্য কোনো ওষুধ বের করতে বিশেষজ্ঞরা এখনো অসমর্থ৷ এর অবশ্য কারণও রয়েছে৷ প্রায় ২০০ রকমের ঠান্ডা লাগার অসুখ রয়েছে৷
সাথে জ্বর
তবে সবচেয়ে বড় ধরনের ঠান্ডা লাগা যেটা আমরা জানি, প্রচণ্ড শরীর, মাথা ও গলা ব্যথা, কাশি, জ্বর, সেই সাথে সর্দি – যা সত্যিই খুব কষ্ট দেয়৷ এরকম ঠান্ডা লাগলে তা ৭ থেকে ১০ দিন থাকবেই, কোনো ওষুধ খাওয়া হোক আর না হোক৷
ইনফ্লুয়েন্জা
সাধারণ ঠান্ডা সাথে ইনফ্লুয়েন্জার কোনো সম্পর্ক নেই৷ সাধারণ ঠান্ডা লাগা আর ইনফ্লুয়েন্জার লক্ষণগুলো অনেকটা একরকম হলেও ইনফ্লুয়েন্জা পুরোপুরি ভিন্ন৷ এটাকে অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া উচিত৷ তা না হলে হঠাৎ করে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে৷ ইনফ্লুয়েন্জা একটি ইনফেকশাস বা ছোঁয়াচে রোগ – বিশেষ করে শিশু, ডায়াবেটিসের রোগী এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে৷ বলেন জার্মানির চিকিৎসা সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ফ্যার্ডিনান্ড গেয়ারলাখ৷
সাবধানতা অবলম্বন
বাইরে থেকে এসে হাত ধুতে হবে৷ শুধু তাই নয়, অন্যের কম্পিউটার বা যে কোনো কিছু ব্যবহার করার আগে ও পরে হাত ধুয়ে নেওয়া ভালো৷ যানবাহনে চলাফেরা করার সময় ইনফ্লুয়েন্জা জাতীয় ইনফেকশন রোগীদের কাছ থেকে কিছুটা দূরে থাকার চেষ্টা করুন৷ গোসলের সময় গরম পানির পর গায়ে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন৷ প্রচুর ফল, নানা রংয়ের সবজি খান ও পানি পান করুন৷ আর অবশ্যই নিয়মিত মুক্ত বাতাসে হাঁটাহাঁটি করতে হবে – এমনটাই বিশেষজ্ঞরা বলেন৷