1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবার জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার ছাড়পত্র দিলো জার্মানি

৫ মার্চ ২০২১

অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির করোনা টিকা নিয়ে তর্কবিতর্কের মাঝে জার্মানির কর্তৃপক্ষ প্রায় সব মানুষের জন্য সেটি নিরাপদ বলে ঘোষণা করেছে৷ এদিকে সরকারের সার্বিক নীতির বিরুদ্ধে সমালোচনা বেড়ে চলেছে৷

https://p.dw.com/p/3qEo2
করোনার টিকা
ছবি: Fred Schreiber/AFP/Getty Images

করোনা সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রবল চাপের মুখে রয়েছে জার্মানি৷ প্রাথমিক সাফল্যের পর সরকার ও প্রশাসনের বর্তমান ভূমিকার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠছে৷ লকডাউন শিথিল করে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে ধাপে ধাপে কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা সত্ত্বেও অনেক মানুষ আশ্বস্ত হতে পারছেন না৷ তার উপর করোনা টিকাদান কর্মসূচির ধীর গতি পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলছে৷ বিশেষ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির টিকা সম্পর্কে জনসংখ্যার একটা বড় অংশের নেতিবাচক ধারণা বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে৷ জার্মানির  কর্তৃপক্ষ এতকাল ৬৫ বছরের বেশি বয়সের মানুষদের এই টিকা না দেবার পরামর্শ দিয়ে আসছিল৷ এবার সেই সিদ্ধান্ত সংশোধন করে সেই টিকাকে সবার জন্য নিরাপদ হিসেবে ঘোষণা করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান৷ এর ফলে আরো অনেক বয়স্ক মানুষ দ্রুত টিকা পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷

কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের ফলে জার্মানিতে অ্যাস্ট্রাজেনিকা কোম্পানির টিকার ভাবমূর্তির কতটা উন্নতি হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ এতকাল সুযোগ পেয়েও অনেক মানুষ সেই টিকা নিতে অস্বীকার করে এসেছেন৷ ফলে অব্যবহৃত টিকার পরিমাণ বেড়েই চলেছে৷ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ৩২ লাখ ডোজ জার্মানির সব রাজ্যে সরবরাহ করা হয়েছে৷ রবার্ট কখ ইনস্টিটিউটের হিসেব অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত মাত্র ৬৩১,০০০ ডোজ মানুষকে দেওয়া হয়েছে৷ সার্বিকভাবে টিকার সরবরাহে ব্যাপক ঘাটতি সত্ত্বেও এমন পরিস্থিতির জন্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকেও দায়ী করছেন সমালোচকরা৷ এখনো পর্যন্ত জনসংখ্যার মাত্র সাড়ে পাঁচ শতাংশ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে৷ এপ্রিল মাস থেকে সরবরাহ বাড়তে থাকলে কর্তৃপক্ষ আরও হিমসিম খাবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন৷ অথচ সহজে দ্রুত করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচিতে আরও গতি এনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশা করছে সরকার ও প্রশাসন৷

সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮শে মার্চ পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে৷ সেই সঙ্গে দৈনিক সংক্রমণের সাপ্তাহিক হারের উপর নির্ভর করে ধাপে ধাপে কিছু বিধিনিয়ম শিথিল করার ঘোষণা করেছে ফেডারেল ও রাজ্য সরকারগুলি৷ তবে আপাতত সংক্রমণের হার না কমায় এবং করোনা ভাইরাসের আরও ছোঁয়াচে সংস্করণগুলির অনুপাত বেড়ে চলায় অনেক বিশেষজ্ঞ পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করছেন৷ এ অবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্পান বৃহস্পতিবার সংসদের নিম্ন কক্ষে সরকারের নীতি ব্যাখ্যা করেন৷ তার মতে, সরকার ধীরে ধীরে ও সতর্কতার সঙ্গে ‘নিউ নরমাল' পরিস্থিতির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ সংক্রমণের বর্তমান হার সত্ত্বেও তিনি ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতির আশা প্রকাশ করেন৷ বিরোধীরা অবশ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে৷ তাদের মতে, অন্য অনেক দেশের তুলনায় জার্মানির টিকাদান কর্মসূচির ধীর গতি অত্যন্ত লজ্জাজনক বিষয়৷

জার্মানির শিল্প-বাণিজ্য মহলও সরকারের নীতি সম্পর্কে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করছে৷ দোকানবাজারসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলার প্রশ্নে সরকারের অস্পষ্ট নীতি অনেকের জন্য বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে বলে কেউ কেউ মনে করছেন৷ কড়া ও জটিল শর্তের ফলে ক্রেতারা দোকানে যেতে দ্বিধা বোধ করবেন বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)