সবার চোখ এখন স্পেন-ব্রাজিল ফাইনালে
২৮ জুন ২০১৩জমজমাট, শ্বাসরুদ্ধকর, অবিশ্বাস্য – এই শব্দগুলো দিয়েও কনফেডারেশন্স কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের বর্ণনা শুরু করা যথেষ্ট কিনা সন্দেহ৷ দলের সেরা ফরোয়ার্ড বালোতেল্লি চোটের কারণে দেশে ফিরে গেছেন, তারপরও প্রথমার্ধে ইটালিরই প্রাধান্য ছিল৷ ম্যাচ শেষে স্পেনের কোচও তা স্বীকার করেছেন৷ দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ম্যাচ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেছিল বর্তমান বিশ্ব ও ইউরো চ্যাম্পিয়নেরা৷ কিন্তু নির্ধারিত নব্বই মিনিট, তারপর অতিরিক্ত ৩০ মিনিট – মোট ১২০ মিনিটেও গোল হয়নি একটাও৷ ম্যাচের বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতেই টাইব্রেকার৷ সেখানেও চূড়ান্ত নাটকীয়তা৷ দু দলের ছয়টি করে শট, ছয়টিতেই গোল, যার অর্থ ৬-৬৷ তারপর ‘আনলাকি থার্টিন', অন্তত ইটালির জন্য তা-ই হলো, ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চি বল উঁচু করে পাঠিয়ে দিলেন বাইরে৷ এগিয়ে গিয়ে ম্যাচ জিতে নেয়ার সুযোগ আর হাতছাড়া করেনি স্পেন৷ বদলি হিসেবে মাঠে নামা জেসুস নাভাস ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে উৎসবের আরেকটি উপলক্ষ্য এনে দেন স্পেনকে৷
আসল উৎসবটা অবশ্য হবে রোববার৷ কার উৎসব সেটাই দেখার অপেক্ষা৷ সেদিন রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন এবং কনফেডারেশন্স কাপের সর্বশেষ দু আসরের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে স্পেন৷ তরুণদের নিয়ে গড়া ব্রাজিল বেশ ভালো ফর্মে৷ সেমিফাইনালে উরুগুয়েকে (২-১) হারাতেই যা একটু কষ্ট হয়েছে, নইলে গ্রুপ পর্বে ইটালির মতো দলকেও সহজেই হারিয়েছিল তারা৷ ইটালিকে ৪-২ গোলে হারানোয় স্বাগতিকরা একটু আত্মবিশ্বাসী তো থাকবেই৷ তবে চতুর্থবারের মতো কনফেডারেশন্স কাপ জিততে হলে হারাতে হবে স্পেনকে৷ শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা, চরম নাটকীয়তা- অভিজ্ঞ আর তুলনায় বেশ অনভিজ্ঞ দুই দলের ম্যাচেও কি থাকবে এ সব? রোববারের ফাইনালের আগে তা অবশ্য বলা যাচ্ছেনা৷
এসিবি/ এসবি (রয়টার্স, ডিপিএ)