সবচেয়ে কমবয়সি চ্যান্সেলর পেতে চলেছে অস্ট্রিয়া
১৬ অক্টোবর ২০১৭রোববার অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে শতকরা ৩১ দশমিক ৬ ভোট পেয়েছে ওভিপি৷ ফলে সংসদে ৬২টি আসন পাওয়া নিশ্চিত৷ তবে এই সাফল্য এককভাবে সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়৷ সুতরাং জেট সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হওয়া দলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে৷
২৬ দশমিক ৯ ভাগ ভোট পাওয়ায় মোট ৫৩টি আসন পারে ক্ষমতাসীন মধ্য বামপন্থি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এসপিও)৷ তারাই আছে দ্বিতীয় স্থানে৷ ২৬ শতাংশ ভোট এবং সেই অনুপাতে ৫১টি আসন পাওয়া চরম ডানপন্থি ফ্রিডম পার্টি (এফপিও) রয়েছে তৃতীয় স্থানে৷ বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ওভিপি-এফপিও-র জোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল৷ শেষ পর্যন্ত তা-ই হলে ২০০০ সালের পর প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আরোহণ করবে ডানপন্থিরা৷
জার্মানিসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশের মতো অস্ট্রিয়াতেও অভিবাসনবিরোধী ডানপন্থিদের উত্থানপর্বের শুরু ২০১৫ সাল থেকে৷ সে বছর অস্ট্রিয়া সীমান্ত দিয়ে অনেক শরণার্থী ইউরোপে প্রবেশ করে৷ অস্ট্রিয়ায় অবাধে শরণার্থীদের প্রবেশ করতে দেখে সরকারের প্রতি তখনই অভিবাসন আইন কঠোর করার আহ্বান জানিয়েছিলেন সেবাস্টিয়ান কুর্ৎস৷ তবে তখন তিনি ওভিপি-র শীর্ষ নেতা ছিলেন না৷ কুর্ৎস ডানপন্থি দলটির পূর্ণ দায়িত্ব পান গত মে মাসে৷ নিজের দলকে নির্বাচনে সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এখন তিনি অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর হওয়ার পথে৷ মাত্র ৩১ বছর বয়সে চ্যান্সেলর হলে তিনিই হবেন বিশ্বের সবচেয়ে কমবয়সি রাষ্ট্রনেতা৷
ইতিমধ্যে কুর্ৎস দলের সমর্থকদের জানিয়েছেন দেশ শাসনের দায়িত্ব নিতে তিনি প্রস্তুত৷ ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত এক র্যালিতে তিনি বলেছেন, ‘‘আপনাদের কাছে আমি এই অঙ্গীকার করছি যে, আমার সমস্ত ক্ষমতা দিয়ে আমি এ দেশে পরিবর্তন নিয়ে আসার জন্য লড়ে যাবো৷ এই দায়িত্ব আমি কৃতজ্ঞচিত্তে গ্রহণ করছি৷''
বয়সে নবীন হলেও কুর্ৎস ইতিমধ্যে বড় দায়িত্ব পালনে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন৷ ২০১৩ সালে তাঁর বয়স যখন ২৭ তখনই অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি৷ তখন হয়েছিলেন ইউরোপের তরুণতম নেতা, এবার তাঁর সামনে তরুণতম রাষ্ট্রনেতা হওয়ার সুযোগ৷
নির্বাচনে নিউ অস্ট্রিয়ান অ্যান্ড লিবারেল ফোরাম (এনইওএস) পেয়েছে ৫ দশমিক ১ শতাংশ ভোট৷ তাদের চেয়ে একটু বেশি ৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে গ্রিন পার্টি৷ তবে এর ফলে সংসদে অংশ গ্রহণ নিশ্চিত হয়েছে তাদের৷ তাতে অবশ্য খুশি হতে পারছেন না দলের অন্যতম নেতা উলরিকে লুনাচেক৷ এক প্রতিক্রিয়ায় নিরাচনের এই ফলাফল হজম করা কঠিন এমন মতামত ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘‘এটা ভয়াবহ পরাজয়৷ খুবই হতাশাজনক৷''
এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এপি, এএফপি)