1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কতটা চাপে পড়বে পাকিস্তান?

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সেনা ক্যাম্পে হামলায় ১৮ জন ভারতীয় সৈনিক নিহত হওয়ার পর, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণার জন্য মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে৷ ভারত স্বাভিকভাবেই চাইছে পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে৷

https://p.dw.com/p/1K65I
Indien Lal Chowk Srinagar - Nach Uri Terrorangriff
ছবি: UNI

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, দেশটির পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্করকে এ বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে৷ বলা হয়েছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে নিয়ে পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে৷ ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি অধিবেশনে বিভিন্ন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের পাকিস্তান কীভাবে সন্ত্রাসীদের উসকানি দিচ্ছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন৷

কাশ্মীরের উড়িতে হামলার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বার্তা পাঠিয়েছেন৷ তাতে তিনি বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের প্রশ্নে বাংলাদেশের নীতি হলো ‘জিরো টলারেন্স'৷ তাই এই কঠিন সময়ে ভারতের পাশে থাকবে বাংলাদেশ৷''

তিনি আরও বলেন, ‘‘ভারতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ এই অঞ্চলের সব বিপদ ও হুমকির মোকাবিলায় একযোগে কাজ করবে৷''

ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে যে, সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই-কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেছেন, ‘‘মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের অবদান বাংলাদেশ ভুলতে পারে না৷ তাই ভারতের কঠিন সময়ে বাংলাদেশও প্রকৃত মিত্রের পরিচয় নিয়ে পাশে থাকবে৷ ভারত যে ব্যবস্থাই নিক না কেন, বাংলাদেশ তার পাশে থাকবে৷''

হুমায়ুন কবির

এই প্রেক্ষাপটে নভেম্বর মাসে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন অনিশ্চিত হয়ে পরতে পারে৷ ভারত বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে সঙ্গে নিয়ে সম্মেলন বয়কটের দিকে যেতে পারে৷

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দু'জন পার্লামেন্ট সদস্য পাকিস্তানকে ‘জঙ্গি রাষ্ট্র' ঘোষণার প্রস্তাব দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে একটি বিল উত্থাপন করেছেন৷ টেক্সাসের কংগ্রেস সদস্য টেড পো এবং ক্যালিফোর্নিয়ার ডানা রোহরাবেকার ঐ বিল উত্থাপন করেন৷ ‘পাকিস্তান স্টেট স্পন্সর অফ টেররিজম ডেজিগনেশন অ্যাক্ট' নামের এই বিলটির নম্বর এইচ.আর ৬০৬৯৷'

এ নিয়ে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক হুমায়ুন কবির ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের প্রশ্নে ভারত বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন পাবে৷ কাশ্মীরে হামলার পর বাংলাদেশ থেকে সে বার্তাই দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু বাকিটা নির্ভর করছে ভারত তার পদক্ষেপের ব্যাপারে কতটা সক্ষমতা দেখাতে পারে, তার ওপর৷''

শান্তনু মজুমদার

তিনি বলেন, ‘‘এখানে কাশ্মীর নিজেই একটা ইস্যু৷ কাশ্মীর প্রশ্নে বাংলাদেশ সাধারণত কথা বলে না৷ এবারও বলেনি৷ তবে যারা হামলার জন্য দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা যেতে পারে, এটাই বলেছে৷ কিন্তু বিষয়টি কাশ্মীর প্রশ্নের সঙ্গে এক করে ফেলা কঠিন হয়ে যাবে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘কাশ্মীরে সাম্প্রতিক হামলার পর অনেক বিষয়ই এখন তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে৷''

ওদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. শান্তনু মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘শুধু কাশ্মীরে সেনা হত্যার ঘটনা নয়, উপ-মহাদেশে অনেকে সন্ত্রাসের ঘটনাতেই পাকিস্তান তার অবস্থান স্বচ্ছ রাখতে পারেনি৷ ফলে পাকিস্তান একটা বড় চাপে পড়তে যাচ্ছে এটা বোঝা যায়৷ কিন্তু চীনের ভূমিকার ওপর নির্ভর করবে এই চাপ কতটা প্রবল হবে বা পাকিস্তান কতটা সামলাতে পারবে৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘ভারতেও উগ্রবাদী গোষ্ঠী রয়েছে৷ সেটাও বিবেচনার বিষয়৷''

মোহাম্মদ জামির

আর সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের যেসব গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এইসব হামলার অভিযোগ আছে, তাদের সমর্থন দেয় পাকিস্তান সরকার৷ বাংলাদেশ পাকিস্তানের এই ভূমিকা মেনে নেবে না৷''

তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে আলোচনার মাধ্যমে সামাধান না খুঁজে পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসী এসে হামলা চালাবে, এটা মানতে পারে না বাংলাদেশ৷''

বাংলাদেশের এই অবস্থান কি আপনি সমর্থন করেন? জানান আমাদের, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান